নেপালের বিদ্যুৎ ভারত দিয়ে বাংলাদেশে আনতে দিল্লির সম্মতি
নিউজ ডেস্ক
নেপালের বিদ্যুৎ ভারত দিয়ে বাংলাদেশে আনতে দিল্লির সম্মতি
নেপাল থেকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনতে সম্মতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচন্ড ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনতে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করা হবে। গত বৃহস্পতিবার ভারত ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের এই খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই কেন্দ্রটি ভারতের মালিকানাধীন। ভারতের বিদ্যুৎ নীতিমালা অনুযায়ী, দেশটির ভেতর দিয়ে তৃতীয় আরেক দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে যে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ আসবে সেটির অন্তত ৫০ শতাংশ মালিকানা ভারতের থাকতে হবে। ফলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে ভারতের বাধা নেই। কিন্তু বাধ সাধে গত বছর নেপাল বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে তখনই ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে চাইলে। নেপালের বিদ্যুৎ ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে দিতে চায়নি দেশটি। মোদি-প্রচন্ড বৈঠকে নেপাল থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে বিদ্যুৎ আমদানির বাধা কাটল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘গত বছর আমরা বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক ভিশন ডকুমেন্ট গ্রহণ করেছি। একেই এগিয়ে নিয়ে আজ ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।’
এর আগে গত ১৫-১৬ মে ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ভারতকে বিদ্যুৎ বাণিজ্যসংক্রান্ত ত্রিদেশীয় চুক্তিতে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশ ও নেপাল।
নেপালের বিদ্যুৎ ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত দুটি রুট ধরা হয়েছে। একটি হলো নেপালের আনামারি থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড়। এই সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ্য ৪৯ কিলোমিটার। এই ট্রান্সমিশন লাইনটি নির্মাণ করতে হলে এর জন্য ২৪ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে হবে।
দ্বিতীয়টি হলো আনামারি থেকে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও। এই সঞ্চালন লাইনের দূরত্ব হবে ৮৩ কিলোমিটার। এই রুটে ভারতের ভূখণ্ডের ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহার করতে হবে।
ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর নেপালে ৯০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন আপার কার্নালি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে ২০১৯ সালে জিএমআরের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সই করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ আনতে ভারত সরকারের কোনো বাধা নেই। কারণ কেন্দ্রটির মালিকানায় রয়েছে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর।
এ ছাড়া নেপালের ৬৮৩ মেগাওয়াটের সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আনতে চায় বাংলাদেশ। এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-নেপাল যৌথভাবে নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাবসংক্রান্ত কাজ এখনো শেষ হয়নি।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে