ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নবিজী (সা.) যেসব খাবারকে ক্ষতিকর বলেছেন

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৯ মে ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক হালাল খাবারকে নানান কারণে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন। খাবার অবস্থাভেদে ক্ষতিকর আবার অবস্থাভেদে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তিনি সব সময় সাধারণ খাবার খেতে পছন্দ করতেন। মানুষকে কম খাবার গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। এমনকি ‘একজনের খাবার দুজনের জন্য যথেষ্ট’ বলেছেন। যেসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সে সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই খাবারগুলো কী?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে এমন খাবার খেতে বলেছেন, যে খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। আর যেসব খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর, হজমের জন্য ক্ষতিকর, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর; তেমন কোনো খাবার তিনি গ্রহণ করতেন না। যেমন-

১. পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে এমন খাবার তিনি খেতেন না। কাউকে খেতেও বলতেন না।

২. ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস পাবে এমন খাদ্য ও পানীয় তিনি গ্রহণ করতেন না।

৩. তিনি অতিরিক্ত স্বাদ ও রুচির জন্য বেশি মসলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছেন।

৪. নবিজী অতিরিক্ত গরম খাবার খেতেন না; যে খাদ্য থেকে ধোঁয়া বের হয়। অতিরিক্ত গরম খাবার ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতেন। অতিরিক্ত গরম খাবার সম্পর্কে তিনি কখনো বলতেন-

‘আল্লাহ তাআলা আমাদের আগুন খাওয়াননি।’ আবার কখনো বলতেন, ‘গরম খাদ্যে বরকত নেই।’

৫. চালাবিহীন আটার রুটি পছন্দ করতেন। কিন্তু মিহি ময়দার পাতলা চাপালা পছন্দ করতেন না।

৬. যেসব খাবার দ্রুত হজম হয় না তা খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন।

শুধু তা-ই নয়

৭. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো অতিরিক্ত খাবার খেতেন না। এক নাগাড়ে খাবার খাওয়ার উপর থাকতেও নিষেধ করেছেন। অতিরক্তি খাবার খাওয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-

‘মুমিন এক অন্ত্রণালীতে খাবার খায়। আর কাফের অবিশ্বাসীরা সাত অন্ত্রণালীতে খাবার খায়।’ (তিরমিজি)

মনে রাখতে হবে

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো খাবারকে খারাপ বলেননি। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কোনো খাবারকে খারাপ বলেননি। তিনি কোনো খাবার পছন্দ হলে খেয়েছেন আর অপছন্দ হলে তা ত্যাগ করেছেন।’ (বুখারি)

মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব খাবারকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকা। যেসব খাবার সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তা যথাযথ নিয়মে খাওয়া। খাবার গ্রহণেও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। তবেই সুস্থ শরীর, দেহ ও মনের অধিকারী হবে মুমিন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নিয়মে যথাযথ খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। অতিরক্তি গরম ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। খাবারের সময় নিজেদের সংযত রাখার তাওফিক দান করুন। খাবার নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়