ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভার দৃশ্যপট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে পাহাড় নদী আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি দুর্গাপুর উপজেলা। এ অঞ্চলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও গারো, হাজংদের বৈচিত্রময় জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতি দেখতে প্রতি বছর শত শত পর্যটক এখানে বেড়াতে আসে।

পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবং দুর্গাপুর উপজেলা শহরের নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর পৌর নাগরিকরা নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করলেও তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। 

সুমেশ্বরী নদী থেকে শত শত ট্রাক ভেজা বালু পরিবহন করায় সারা বছর পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কে কাদা পানিতে সয়লাভ থাকতো। ফলে কোমলমতি শিশু কিশোরসহ পৌর নাগরিক ও বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা কাদা পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হতো। প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না তোলায় সামান্য বৃষ্টিপাতে বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিতো। 

সড়কবাতির ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার বেশীরভাগ অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো। প্রয়োজনীয় টিউবওয়েল স্থাপন না করায় বস্তি এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট লেগেই থাকতো। 

বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আলা উদ্দিন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি যদি মেয়র নির্বাচিত হন। ‘তাহলে পৌর নাগরিকদের এ সকল সমস্যা সমাধান করে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করবেন’। 

নির্বাচিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেয়র মোঃ আলা উদ্দিন নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভার রাস্তাঘাট প্রশস্থ করণ ও নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বক্স কালভার্ট নির্মাণ, অন্ধকার দূরীকরণে সড়ক বাতি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি কল্পে বিভিন্ন মোড়ে আলোকসজ্জ্বার ব্যবস্থা করণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, বস্তি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সাবমার্সেবল টিউবওয়েল স্থাপন, প্রবীণ নাগরিকরা যাতে নিরাপদে হাঁটাহাঁটি করতে পারে এবং বিশ্রাম নিতে পারে তার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মান ও বেঞ্চ স্থাপন, কোমলমতি শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য মিনি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তা নির্মান ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ জোরেশোরে চলছে। আগামী বর্ষার আগেই এ সকল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

দুর্গাপুর মধ্য বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, বিগত দিনে পৌরসভায় যত কাজ না হয়েছে, বর্তমান মেয়র এক বছরের মাথায় তার চেয়েও বেশী উন্নয়ন মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সকল উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে সড়কে আর কাদাপানি মাড়িয়ে পথচারীদের চলতে হবে না।

পৌর নাগরিক দীপক সাহা জানান, সড়ক বাতি দেয়ায় আমরা সন্ধ্যার পর স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছি।

রাখি দ্রং বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভার বস্তি এলাকায় সাবমার্সেবল টিউবওয়েল দেয়ায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দুর হয়েছে।

‘পৌর মেয়র আলা উদ্দিন বলেন, আমি নির্বাচনের পূর্বে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।’ 

পৌর নাগরিকরাও আমাকে সব ধরণের সহযোগিতা করছে। ‘আগামী ৪ বছর যদি উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে দুর্গাপুর পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় উন্নীত করতে পারব, ইনশাল্লাহ্’।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়