ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৫ নভেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ব্যভিচারকে অশ্লীল ও নিকৃষ্ট কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যভিচার ও ধর্ষণ রোধে ইসলাম পর্দার বিধান দিয়েছে, শালীন পোশাক পরিধানের কথা বলেছে। এছাড়া নারী ও পুরুষকে চোখ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

ব্যভিচার ও ধর্ষণ রোধে ইসলামে পার্থিব ও অপার্থিব শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিবাহিত ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীকে আমৃত্যু পাথর নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শরিয়তে ব্যভিচারী বিবাহিত হলে তার শাস্তি রজম বা পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড। আর অবিবাহিত ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীকে ১০০ বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী—তাদের প্রত্যেককে ১০০ চাবুকের আঘাত করবে...।’ (সুরা : নুর, আয়াত ২)

আমাদের সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসলামের অনুশাসন যেমন নারীরা মানছে না, তেমনি মানছে না পুরুষেরাও। অথচ আল্লাহ তায়ালা পর্দার নির্দেশদানের ক্ষেত্রে প্রথমে উল্লেখ করেছেন পুরুষদের, এরপরে বলেছেন নারীদের কথা। তিনি ইরশাদ করেন-

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

‘হে রাসূল! আপনি মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জস্থানের হেফাজত করে; এটিই তাদের জন্য পবিত্রতর (ব্যবস্থা)। তারা যা করে আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে ভালোভাবেই অবগত আছেন।’ (সূরা নূর : ৩০)

وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা নূর : ৩১)

হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থান (মুখ/জবান) ও দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান (যৌনাঙ্গ) হেফাজত করবে, আমি নিজে তার জান্নাতের জিম্মাদারি নেব।’ (বুখারী- মুসলিম)

এখানে কুরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে তা কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়কেই বলা হয়েছে। তাহলে বেপর্দার জন্য শুধুমাত্র নারীকেই কেন দোষারোপ করা হবে? কেন নারীকে একা পেলেই হামলে পরবে ধর্ষকের দল। ছিন্নভিন্ন করবে তার পবিত্র ভূষণ। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন,

وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ تُلْقُواْ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوَاْ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

‘আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালোবাসেন।’ (সূরা বাকারা ১৯৫)

ধর্ষণ প্রবণতার আরেকটি কারণ হলো, ইসলামের নির্ধারিত শাস্তিকে বাস্তবায়ন না করা। ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। ইসলামে এই অপরাধ নিকৃষ্ট কাজ ও হারাম হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً

‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটি প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও অত্যন্ত মন্দ পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল ৩২)

ধর্ষণের মতো হীন কর্মকে ইসলাম শুধুমাত্র নিষেধ করেই চুপ থাকেনি, বরং ধর্ষকের জন্য ব্যবস্থা করেছে কঠিন শাস্তির।

হজরত আলকামা (রা) তার পিতা ওয়াযেল (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে জনৈক মহিলা সালাত আদায়ের জন্য গমনকালে পথিমধ্যে তার সঙ্গে একজন পুরুষের দেখা হলে, সে ব্যক্তি জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। সে মহিলা চিৎকার দিলে, তার পাশ দিয়ে গমনকালে জনৈক ব্যক্তি এর কারণ জানতে চায়। তখন সে মহিলা বলে, ‘অমুক ব্যক্তি আমার সাথে এরূপ অপকর্ম করেছে’। পরে তার পাশ দিয়ে মুহাজিরদের একটি দল গমনকালে সে মহিলা তাদেরকেও বলে, ‘অমুক ব্যক্তি আমার সঙ্গে এরূপ কাজ করেছে’।

তারপর তারা গিয়ে এক ব্যক্তিকে ধরে আনেন, যার সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল যে, সে-ই এরূপ করেছে। এরপর তারা সে ব্যক্তিকে উক্ত মহিলার কাছে উপস্থিত করলেন, সে মহিলা বলে, ‘হ্যাঁ। এই ব্যক্তিই এ অপকর্ম করেছে।’

তখন তারা সে ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে যায়। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সে ব্যক্তির উপর ইসলামের বিধান জারি করার মনস্থ করলেন, তখন নারীর সঙ্গে অপকর্মকারী মূল ব্যক্তি এসে উপস্থিত হন এবং দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি নন, বরং অপরাধ আমি করেছি। আমি-ই এই অপকর্ম করেছি। আমাকে শাস্তি দিন।’

তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মহিলাকে বলেন, ‘তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমার অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন’। এরপর হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভুলভাবে ধরে আনা লোকটির সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করেন এবং ধর্ষক ব্যক্তিটিকে শাস্তিদানের জন্য পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘লোকটি এমন তাওবা করেছে যে, সমস্ত মদীনাবাসী এরূপ তাওবা করলে, তা কবুল হতো।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩৮, ৪৩৬৬)

অপরাধ দূর করতে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা

অপরাধপ্রবণতা কমাতে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার কথা বলে আধুনিক অপরাধবিজ্ঞান। রাসুলুল্লাহ (সা.) অপরাধপ্রবণতা দূর করতে এই পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিতেন। তিনি এমনভাবে অপরাধের স্বরূপ উন্মোচন করতেন যে মানুষের অপরাধস্পৃহা দূর হয়ে যেত। যেমন, এক যুবক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ব্যভিচারের অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, তোমার মা, মেয়ে, বোন, ফুফি ও খালার সঙ্গে কেউ এমন করুক এটা কি তুমি পছন্দ করবে? সে বলল, না, এটা কেউ পছন্দ করবে না। রাসুল (সা.) তাকে বলেন, কোনো মানুষ তার আপনজনের সঙ্গে ব্যভিচার পছন্দ করে না। অতঃপর তিনি তার পাপমুক্তি ও আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য দোয়া করেন। (মুসনাদ আহমদ : ৫/২৫৬)
 
ধর্ষিতার করণীয়

ব্যভিচারের সমগোত্রীয় অথচ তার চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হলো ধর্ষণ। ইসলামে ব্যভিচারের পাশাপাশি ধর্ষণও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। কোনো ব্যক্তি যদি ধর্ষণের শিকার হয়, তাহলে তার সর্বপ্রথম করণীয় হলো, সম্ভব হলে তা প্রতিরোধ করা। এমনকি যদিও তা ধর্ষণকারীকে হত্যা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে, তাতেও ইসলাম সায় দিয়েছে।

সাইদ ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে, সে শহীদ। জীবন রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে, সে-ও শহীদ। দ্বীন রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে, সে শহীদ। আর সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে, সে-ও শহীদ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭২; তিরমিজি, হাদিস : ১৪২১)

ইসলামী আইনবিদরা এ মর্মে ঐকমত্যে রয়েছেন যে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে ধর্ষণের কারণে অভিযুক্ত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে তার কোনো পাপ নেই। কেননা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ওপর বল প্রয়োগ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার উম্মতের ভুলবশত করা অপরাধ, ভুলে যাওয়া কাজ ও বল প্রয়োগকৃত বিষয় ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২০৪৫)

ধর্ষকের শাস্তি

ধর্ষণের ক্ষেত্রে এক পক্ষ থেকে ব্যভিচার সংঘটিত হয়। আর অন্য পক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। তাই মজলুমের কোনো শাস্তি নেই। শুধু জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় সংঘটিত হয়।

১. ব্যভিচার
২. বল প্রয়োগ
৩. সম্ভ্রম লুণ্ঠন

ব্যভিচারের জন্য কোরআনে বর্ণিত ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে ১০০ বেত্রাঘাত করা হবে।

হানাফি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাব মতে, ধর্ষণের জন্য ব্যভিচারের শাস্তি প্রযোজ্য হবে। তবে ইমাম মালেক (রহ.)-এর মতে, ধর্ষণের অপরাধে ব্যভিচারের শাস্তির পাশাপাশি ‘মুহারাবা’র শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। ‘মুহারাবা’ হলো, অস্ত্র দেখিয়ে বা অস্ত্র ছাড়াই ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা কিংবা লুণ্ঠন করা। এককথায়, ‘মুহারাবা’ হলো পৃথিবীতে অনাচার সৃষ্টি, লুণ্ঠন, নিরাপত্তা বিঘ্নিতকরণ, ত্রাসের রাজ্য কায়েম করা ইত্যাদি।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ‘মুহারাবা’র শাস্তি এভাবে নির্ধারণ করেছেন, ‘যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি হচ্ছে : তাদের হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে বা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া হবে কিংবা দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এটি তাদের পার্থিব লাঞ্ছনা, আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩৩)

এ আয়াতের আলোকে মালেকি মাজহাবে ধর্ষণের শাস্তিতে ‘মুহারাবা’র শাস্তি যুক্ত করার মত দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, সমাজে ধর্ষণ মহামারির আকার ধারণ করলে, সমাজ থেকে ধর্ষণ সমূলে নির্মূল করার লক্ষ্যে এ শাস্তি প্রয়োগ করা জরুরি। (আল মুগনি : ৮/৯৮)

আর যদি ধর্ষণের সঙ্গে হত্যাজনিত অপরাধ যুক্ত হয়, তাহলে ঘাতকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

সব শেষে একটি বিষয় স্মরণ রাখা জরুরি। সমাজ থেকে ব্যভিচার ও ধর্ষণ সমূলে নির্মূল শুধু দণ্ডবিধি ও আইনের কঠোরতার মাধ্যমে সম্ভব নাও হতে পারে। দণ্ডবিধি ব্যভিচার ও ধর্ষণ উপশমের একটি উপায়। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি, খোদাভীতি ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়