ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দেশে ধর্মীয় উসকানি বেড়েছে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্তে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ। অনেক সাধারণ মানুষ নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না। উগ্রবাদীদের লেলিয়ে দেওয়া ফাঁদে পা দিচ্ছেন তারা। এতে বিপন্ন হচ্ছে কিছু নিরীহ প্রাণ এবং সমাজে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।

ধর্মীয় উসকানিমূলক লেখা কিংবা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পূর্বক হামলা-মামলা এবং মানুষ হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে বেশ কিছু উগ্রবাদী ফেসবুক পেজ, গ্রুপ ও আইডি সক্রিয় রয়েছে। এরা কোনো ঘটনাকে অতিরঞ্জিত ও বড় করে উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে। তখনই ঝোপ বুঝে কোপ মারে স্বার্থান্বেষী মহল এবং বাধিয়ে দেয় ধর্মীয় গোলযোগ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, মুসলিম উগ্রবাদ ছড়াতে যেসব পেজ কিংবা গ্রুপ অ্যাক্টিভ রয়েছে, প্রায় সবগুলোই বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের নামে উগ্রবাদকে মদদ দেওয়ারও কিছু পেজ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া আইডি বা পেজ নরজদারিতে রয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে বিভেদ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু লাগামহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে আজ তা বিপন্ন। বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচার ও কর্মকাণ্ডের সুযোগ নিচ্ছে দেশের অপশক্তিরা। সাধারণ ও সহজ-সরল বিশ্বাসের মানুষগুলোকে রাস্তায় নামিয়ে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। খুব দ্রুত এটা না করলে সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ফলে সহজ-সরল ও ধর্মভীরু মানুষকে উসকে দিয়ে নানা গোষ্ঠীর ফায়দা নেয়ার প্রবণতা আরো বাড়বে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়