ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে করোনা-টিকার ব্যবসায় চোখ ড. ইউনূসের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৩১ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীন ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার যতোটা না মানুষের ভাগ্য বদলেছে, তার চেয়ে বেশি বদলে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাগ্য। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে একেবারে প্রান্তিক মানুষকে পর্যন্ত শোষণ করার তত্ত্ব আবিস্কার করে পশ্চিমাদের প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন তিনি। জিতেছেন একের পর এ পুরস্কার। কিন্তু দুর্যোগে-দুর্বিপাকে এই দেশের গণমানুষের পাশে কখনোই পাওয়া যায়নি তাকে। এমনকি এই করোনা মহামারির মধ্যেও গত দেড় বছর ধরে চুপচাপ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় মত্ত আছেন তিনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সরকার যখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আমদানি নিশ্চিত করেছে, ঠিক তখনই ভ্যাকসিন নিয়ে নিরাশার বুলি ছড়াতে শুরু করেছেন ড. ইউনূস। কিন্তু কেনো?

সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে সব মানুষকে টিকা দিতে ৫৭ বছর লাগবে। ততদিনে বিশ্বের সব মানুষ মরে সাফ হয়ে যাবে। অথচ, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই বছরের মধ্যে আরো প্রায় চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে আসার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি আগামী বছর আরো ১০ কোটি ভ্যাকসিন আমদানি প্রক্রিয়ারও চলছে। সব ঠিক থাকলে সরকার দুই বছরের মধ্যে দেশের সব মানুষকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রাণান্ত কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ, এরকম একটি পরিস্থিতিতে গণমানুষের মধ্যে হতাশা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন ড. ইউনূস।

সবচেয়ে হতাশার কথা হলো, আর্থিকভাবে না হোক, অন্তত দেশজুড়ে পরিচিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি মুখের কথার মাধ্যমেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করতে পারতেন। অথচ করোনাকালে একবারের জন্যেও দেশের জনগণের ভালো কিছু কামনা করে কোনো কথাই বলেননি তিনি। এমনকি টিকাবিরোধী জঙ্গিবাদী প্রচারণার বিরুদ্ধেও সচেতন করার জন্য বার্তা দেননি গণমানুষের উদ্দেশ্যে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যখন এককভাবে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গ্রাম পর্যন্ত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক তখনই করোনার বিষয়ে মুখ খুললেন ড. ইউনূস। সেই সঙ্গে করোনার টিকার ব্যবসার করার প্রতিও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক ব্যবসার নামে চড়া দামে করোনার টিকা নিয়েও ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তিনি। দেশের এই দুর্যোগকালকে বাণিজ্যের সুযোগ হিসেবে নিয়ে অগাধ অর্থ উপার্জনের ছক এঁটেছেন এই ব্যবসায়ী।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের মাধ্যমে দেশের স্বল্প আয়ের কোটি মানুষকে ভাগ্য বদলের মিষ্টি কথা বলেছিলেন একসময় ড. ইউনূস। এরপর কেটে গেছে অনেক বছর। গ্রামীণ ব্যাংক ফুলে-ফেঁপে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সরকারকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় অর্থ সরানোর অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। অথচ যেসব দরিদ্র মানুষের রক্ত শুষে নেওয়া অর্থের দাপটে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছেন ড. ইউনূস, সেই গণমানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং যাদের শুধু ভাঙা ঘর ছিল, তাদের ঘরের টিনটাও খুলে নিয়ে গেছে ড. ইউনুসের প্রতিষ্ঠান। এই ঋণের দুষ্টচক্রে পড়ে একমাত্র গবাদি পশুটিও বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছে প্রান্তিক মানুষেরা। এই মহামারিকালে সেইসব ভাগ্যহতদের মতো কোটি মানুষকে সরকার যখন খাদ্য-অর্থ-চিকিৎসা ফ্রিতে পৌঁছে দিচ্ছে, ঠিক তখনই আবারো মানুষের জীবনকে পূঁজি করে ব্যবসার ফন্দি আঁটছেন ড. ইউনূস। সব হারানো মানুষেরা কী তাহলে জীবন বিক্রি করে টিকা কিনবে ড. ইউনূসের কাছে!!

সর্বশেষ
জনপ্রিয়