ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দর্শনীয় স্থান: গুলিয়াখালী সৈকত

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশাল সমুদ্র সৈকত আর কেওড়াবাগানের প্রেমে এখানে জন্ম নিয়েছে এক মুগ্ধ প্রকৃতি। একটি অপূর্ব জায়গা। প্রথমে দেখলে মনে হবে, এটি সুন্দরবনের কোনো দৃশ্য। কিন্তু তা নয়, এটি গুলিয়াখালী সৈকত।

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় নদীর মোহনায় অবস্থিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে এর অবস্থান। এটি মুরাদপুর সৈকত নামেও পরিচিত।

প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে এটি অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সৈকতের পশ্চিমে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, পূর্ব দিকে তাকালে দেখা মেলে পাহাড়ের। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল। এই বন সমুদ্রের অনেকটা গভীর পর্যন্ত চলে গেছে। এর পরিবেশ সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মতো। সৈকত জুড়ে সবুজ গালিচার বিস্তীর্ণ ঘাস একে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে করেছে অন্যন্য। এই সবুজের মাঝ দিয়ে এঁকে বেঁকে গেছে সরু নালা। নালাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ভরে উঠে।

এখানকার পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালীর অনন্য অবস্থান দেখা যায় এই সমুদ্র সৈকতে। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামের দুটি ঝরনা।

জোয়ারের সময় সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ার দৃশ্য যেন অন্য রকমের এক অনুভূতি। গুলিয়াখালীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো কেওড়াবন। কেওড়াবনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারপাশে কেওড়াগাছের শ্বাসমূল এবং বিভিন্ন জায়গায় গর্ত রয়েছে। এক একটা গর্তের সামনে গেলে মনে হবে, এই যেন একটা সাপ বা লতা আমাকে আঁকড়ে ধরবে।  

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে অনেক মানুষ বেড়াতে আসে। সমুদ্র সৈকতটিকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

থাকা ও খাওয়া

এক দিনে যেহেতু ঘোরা সম্ভব, সে ক্ষেত্রে থাকার জন্য কোনও আবাসিক হোটেলের দরকার হবে না। এ ছাড়া খাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ডে কয়েকটি জনপ্রিয় হোটেল রয়েছে। সেখানে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। তা ছাড়া থাকার জন্য সীতাকুণ্ডে বেশ কিছু আবাসিক হোটেলও পাওয়া যায়।

পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান

গুলিয়াখালী সৈকতে গেলে একই দিনে চন্দ্রনাথ পাহাড়, সহস্রধারা লেক ও ঝর্ণা এবং মহাময়া ঝর্ণা, বাঁশবাড়িয়া সৈকত দেখা যাবে।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সায়েদাবাদে যে কোনও বাসে করে সীতাকুণ্ড বাসস্টেশনে নামতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া ৪৮০ টাকা। এই দর্শনীয় স্থান ট্রেন (লোকাল ও মেইল) ভ্রমণ করেও যাওয়া যায়। সীতাকুণ্ড থেকে অটোরিকশায় পশ্চিমে গুলিয়াখালী যেতে ২০ টাকা ভাড়া।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়