ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তারেকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলছেন বিএনপির নেতারা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৯ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে বিষয়টি বাড়তে থাকে। এতদিন বিষয়টি গোপনে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই বিএনপির নেতারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছেন।

সূত্র জানায়, তারেককে যখন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বানানো হয়, সেসময় এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি দলের সিনিয়র নেতারা। এরপর যখন তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয় তখন সিনিয়র নেতারা বেশ অবাক হয়েছিলেন। বিএনপির মত এতবড় একটা দলে শুধুমাত্র বাবা-মায়ের পরিচয়ের কারণে একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দায়িত্বে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন নেতারা। সেসময় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও এখন সেই নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত এক মাসে অনলাইনে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনাকালে তারেক রহমানের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, বিষয়টি আসলে সেরকম কিছু নয়। বড় দলে অনেক ধরনের সমস্যা থাকে। আর বিএনপির মত বড় দল কে পরিচালনা করবে সেটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। প্রথমে তারেক রহমানের বয়স এবং রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার কারণে সিনিয়র নেতাদের অনেকেই বিষয়টি মানতে পারেননি। তারা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার আন্ডারে রাজনীতি করেছেন। তাদের জন্য তারেককে মানা একটু কষ্টকরই। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা অনেক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছি, মাঝেমধ্যে সেই ক্ষোভ থেকে অনেকে দুই এক কথা বলে থাকেন।

জানা গেছে, বিএনপিতে তারেক রহমানের অনুসারীরা বেশিরভাগই তরুণ। তাদের সাথে সিনিয়র নেতাদের মতভেদ বিস্তর। তারেক রহমানও জানেন বিষয়টা। সেজন্য দেশের অনেক জেলা-উপজেলায় সিনিয়রদের বাদ দিয়ে তারেকের অনুসারী জুনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরেই প্রক্রিয়াটি চলছে। এতে সিনিয়র নেতারা তারেকের ওপর আরও নাখোশ হচ্ছেন। এই নেতারাই বিভিন্ন ফোরামে তারেকের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। এছাড়া এই সময়ে কোন আন্দোলনই সফল করতে পারেনি দলটি। এতে নেতাকর্মীদের হতাশা বাড়ছে। আবার নেতৃত্ব অনুসরণীয় কিছু করতে পারছে না, সেটাও একটা বড় কারণ। খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের বিএনপির নেতা এখন তারেক রহমান। কিন্তু তিনি বিদেশে বসে আছেন। অতদূর থেকে আসলে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। তারেক রহমানের উচিৎ ছিল দেশে আসা। এতে গ্রেপ্তার হলেও তার প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা বাড়ত। কিন্তু তিনি নিরাপদে বিদেশে থেকে নির্দেশ দিলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে আস্থা হারাবেন এটাই স্বাভাবিক।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়