ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সামি ও তাসনিমসহ ৭ জনের বিচার শুরু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রতি প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। 

রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষ এ অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। 

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আসামি লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। 

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার। 

এছাড়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। 

গত ১৩ জুন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক আফছার আহমেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া এ মামলা থেকে কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া অভিযোগপত্রে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন নারাজি গ্রহণ করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ঐ পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন। 

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন ওরফে সামিউল, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়