ট্রেনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন যে উপায়ে
নিউজ ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ থেকে নানা কারণেই মানুষ ভারত যেয়ে থাকেন। চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ। যারা একটু অবস্থাসম্পন্ন তারা প্লেনে যান। আবার কেউ কেউ খরচ বাঁচাতে বাসে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান।
তবে ট্র্যাভেল গাইডরা বাসযোগে ভারত ভ্রমণের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেন। কারণ বাসযোগে ভারত যাত্রা পর্যটকদের জন্য বিরক্তিকর। তাই বেশিরভাগ ট্র্যাভেল গাইড কম খরচে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য ট্রেন ভ্রমণের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ট্রেনে যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা।
চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেসব ট্রেনে ঘুরে আসতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত-
মৈত্রী এক্সপ্রেস
মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতা এক্সপ্রেস নামেও পরিচিত এটি। বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতায় যাতায়াত করে এটি। মৈত্রী এক্সপ্রেসের পরিষেবা এখন সম্পূর্ণরূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ট্রেনটি শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে এবং শনিবার, রোববার ও মঙ্গলবার কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। পাসপোর্ট ভিসা দেখিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যায়। কলকাতা থেকে টিকেট কাটতে হবে চিৎপুরের কলকাতা টার্মিনাল স্টেশন এবং ফেয়ারলি প্যালেস থেকে।
ভাড়া
ঢাকা টু কলকাতা এসি কেবিনের প্রতি সিট ২ হাজার ৯৩৫ টাকা ও ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ ৩ হাজার ৪৩৫ টাকা। এসি চেয়ার ১ হাজার ৯৫৫ টাকা ও ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ ২ হাজার ৪৫৫ টাকা।
অন্যদিকে কলকাতা টু ঢাকা এসি কেবিনের প্রতি সিট ২ হাজার ১৫ রুপি এবং এসি চেয়ার ১ হাজার ৩৪৫ রুপি। ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্টে থাকা তথ্য অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হবে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্যের প্রতীক হিসেবে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়।
বন্ধন এক্সপ্রেস
কলকাতা-খুলনা এক্সপ্রেস বাংলাদেশের খুলনা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াত করে। প্রতি বৃহস্পতিবার কলকাতা শহর থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে বন্ধন এক্সপ্রেস। এরপর পেট্রাপোল, যশোরের বেনাপোল, যশোর হয়ে খুলনায় এসে পৌঁছায়। এছাড়া খুলনা থেকে দুপুর দেড়টায় যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে কলকাতায় পৌঁছায় ট্রেনটি। এক্সপ্রেসটিতে এক্সিকিউটিভ চেয়ার ও এসি চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। খুলনা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার।
ভাড়া
খুলনা টু কলকাতা এক্সিকিউটিভ চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৪৭০ টাকা ও ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ ১ হাজার ৯৭০ টাকা। এসি চেয়ার ৯৮০ টাকা ও ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ ১ হাজার ৪৮০ টাকা।
কলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর।
- দর্শনীয় স্থান: উত্তরার দিয়াবাড়ি
- বান্দরবানের মুনলাই পাড়া: দেশের সুন্দরতম গ্রাম
- সাজেক ভ্যালি: মেঘের ভেলায় এক স্বর্গীয় রাজ্য
- নেপালে ভ্রমণের শীর্ষ ১০ স্থান
- দর্শনীয় স্থান: মাধবপুর লেক
- দর্শনীয় স্থান: নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ
- দর্শনীয় স্থান: কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন
- ৫০ দিনে যেভাবে বদলে গেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- আমাজন জঙ্গল রহস্য ঘেরা এক মহাবিস্ময়
- নিলাদ্রি লেক: এ যেন বাংলাদেশের ‘কাশ্মীর’