ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

টানা ৪২ বছর ধরে ডান হাত উঁচু করে রেখেছেন এই ব্যক্তি!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ৬ জুলাই ২০২০  

ছবি: অমর ভারতী

ছবি: অমর ভারতী

ভারতে অনেক সাধু সন্ন্যাসী রয়েছেন। তারা এক মনে ধ্যানরত অবস্থায় থাকেন। যদিও তাদের সবাই বসেই ধ্যানমগ্ন থাকেন। তবে কখনো কি শুনেছেন কোনো ব্যক্তি হাত উঁচু করে রেখে ধ্যান করছেন, তাও আবার ৪২ বছর ধরে? আজ তেমনি এক সাধুর কথা জানাবো-

দিল্লীতে বসবাসকারী এই মহামানব টানা ৪২ বছর ধরে হাত উঁচু করে রয়েছেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! নাম তার অমর ভারতী। যেখানে আমরা পাঁচ মিনিট হাত উঁচু করে রাখতে পারিনা সেখানে ৪২ বছর ধরে তিনি কীভাবে একই অবস্থায় রয়েছেন?

অমর ভারতী                                                           অমর ভারতী
 

১৯৭৩ সালে অমর ভারতী ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য ডান হাত উপরে তুলেছিলেন। অবাক করা বিষয় হলো তিনি কখনো হাত নামাননি। ১৯৭০ সালের আগে তিনি এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বসবাস করতেন। তারপরে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধান্ত নিলেন, এই সব ছেড়ে দিয়ে হিন্দু দেবতা শিবের সেবা করবেন। এরপরই তিনি শিবের প্রতি ভক্তি অনুসরণে তার চাকরি, স্ত্রী ও তিন সন্তানদের রেখে চলে যান।

এরতিন বছর পরে অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে এসেও তিনি ভাবতে থাকেন এই জগত সংসারের লোভ তাকে টানছে। এরপর তিনি শিবের প্রতি ভক্তি অনুসারে নিজের ডান বাহু উপরে উঠালেন। আর এটি তিনি চিরকালের জন্য স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই থেকে এখনো তিনি নিজের ডান হাত উপরে উঠিয়েই রেখেছেন। 

তার উত্থিত বাহুটি এখন বিকৃত হয়ে কাঠের মতো হয়ে গিয়েছে। নখগুলো পাকানো। তিনি এত বছরে তার নখও কাটেননি। অমর ভারতী জানান, প্রথমে বেশ কিছুদিন ধরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল তার হাতে। তবে কিছু দিন পরে তার অভ্যাস হয়ে গেছে।

তার হাতের এই দশা                                                       তার হাতের এই দশা
 
এখন তিনি চাইলেও ওই হাতটি ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ তার বাহুটি এখন অসাঢ় হয়ে গেছে। এমনকি হাতটি নাড়াতেও পারেন ওই ব্যক্তি। ভারতের অন্যান্য সাধুরাও তাদের ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য অনেক কিছুই করে থাকে। ভারতী নিজেই বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেদনা সহ্য করেছিলেন। তবে এখন আর তার ব্যথা হয় না। কারণ তার বাহুটি এখন পুরোপুরিভাবে অসাঢ়। যা সে কখনো কল্পনা করেনি।

অন্যান্য সূত্রের দাবি, অমর ভারতী বিশ্বে যে সমস্ত লড়াই চলছে তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিল এবং শান্তির স্বার্থে তার ডান হাত উঁচু করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বেশিরভাগ সাধু-সন্তের মতো, তিনি তার পূর্বশ্রম সম্পর্কিত কোনো কিছুই গণমাধ্যমকে জানননি। যেমন সন্ন্যাস গ্রহণের আগের জীবনের কথা। তার মতে, এভাবে থাকতে পেরে তিনি ভগবানের আশির্বাদ লাভ করেছেন। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়