জাতির পিতার আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে গুরুত্বারোপ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য তারুণ্যের শক্তিটাকেই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। তরুণ সমাজকে আমরা তৈরি করতে চেয়েছি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। শিক্ষায়-দীক্ষায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি; যেন তরুণ সমাজই আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রগতিশীল ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে যদি যুবলীগ গড়ে উঠতে পারে তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে। আর আমরা যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি করেছি, সে মতেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার উন্নত দেশের পথে যাওয়ার পরিকল্পনায় রূপকল্প ২০৪১ দিয়েছে। সেটা ধরে এগিয়ে গেলে পরে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছাবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে।
তিনি বলেন, নিজের ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে হবে আবার আগামী প্রজন্মগুলোও যেন সুন্দরভাবে গড়ে উঠে সেইভাবেই আগামী প্রজন্মকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে হবে। এই বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে।
করোনা মহামারির মধ্যে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সাহায্য দিয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহসহ সব ধরনের কাজ করেছে যুবলীগ। এমনকি তারা মুজিবর্ষের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং ছাত্রলীগের পাশাপাশি মাঠে নেমে ধান কেটে কৃষকের গোলায় তুলে দিয়েছে যুবলীগ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যাদের ভূমি নেই, গৃহ নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুচ্ছগ্রাম করে ঘর-বাড়ি দেওয়া শুরু করেছিলেন। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়েছি। ১৯৯৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত আমরা প্রায় ১০ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক যুব নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি এবং হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল সভা সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ডিবিসি নিউজ এর প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল ইসলাম, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি এবং বিশিষ্ট বাউল শিল্পী শফি মণ্ডল।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে