ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

জন্ডিস হলে যেসব খাবার খাবেন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ৬ জুলাই ২০২২  

জন্ডিস; যা ইক্টেরাস নামেও পরিচিত, আসলে কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় আর দেখা দেয় জন্ডিস।

জন্ডিস হলে রোগীর পথ্য কী হবে, তা নিয়ে অনেক ভ্রান্তি রয়েছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। জন্ডিস হলে যকৃৎ কিংবা পিত্তথলির ওপর চাপ পড়ে না এমন খাবার খাওয়া উচিত। অল্প করে একটু পরপর সঠিক খাবার খেলে এবং পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে এমনিতেই জন্ডিস সেরে যায়। আসুন জন্ডিস হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো জেনে নিই-

গোটা শস্য:- কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে রুটি, ওট্স, বাদামি চাল খেতে পারেন। গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন থাকে, যা ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়।

প্রোটিন:- খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মুরগির মাংস, মাছ, ডাল পরিমাণমতো থাকতে হবে। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে। অনেকে মনে করেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী মাছ-মাংসজাতীয় খাবার খেতে পারবেন না। এটা আসলে ভুল ধারণা।

সবজি:- মুলা, বিট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, বাঁধাকপি ও পালংশাক জন্ডিস রোগীর জন্য খুব ভালো।

ফল:- পেঁপে, তরমুজ, আনারস, বেরিস, পাকা আম, কলা, আঙুর, জলপাই, অ্যাভোকাডো, কমলার মতো সহজপাচ্য ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে।

দুগ্ধজাতীয় খাবার:- জন্ডিস হলে ফুল ক্রিম দুধ বা দই, পনির খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা যকৃতের জন্য ক্ষতিকর।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার:- লেবু, বাতাবি লেবুর শরবত জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এগুলো শরীরে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রতিদিন বাদামও পরিমাণমতো খেতে পারেন। সামান্য আদা কুচি বা রসুন কুচি, আদার রস বা আদা-চা খাওয়া যেতে পারে দিনে দু-একবার। এগুলো যকৃতের জন্য ভালো।

পানি:- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি (দৈনিক অন্তত আট গ্লাস) পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি পানের প্রয়োজন নেই। পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আখের রস, ডাবের পানিও শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। তবে রাস্তার পাশের আখের শরবত না পান করে ঘরে তৈরি শরবত খেতে হবে।

যা খাওয়া যাবে না

চিনি বা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, কাঁচা লবণ, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার, রেড মিট (গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস), অ্যালকোহল, ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়