ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগি হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনী জে. ব্লিংকেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনী জে. ব্লিংকেন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়া ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনী জে. ব্লিংকেনের মধ্যে টেলিফোন আলাপে তারা এই আগ্রহের কথা জানান।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। খবর বাসস’র।

এ সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনীতি জোরদার, সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রম ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় বের করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই নেতার মধ্যে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের একটি টেকসই সমাধান এবং শ্রম ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়।’

এতে আরও বলা হয়, ব্লিংকেন ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে অভিনন্দন জানান।

বাইডেন প্রশাসন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মোমেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি’র উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

সফরের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ইস্যু নেই। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি, মার্কিন নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারাবাহিক বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে।

এর আগে, মোমেন আশা প্রকাশ করেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নতুন প্রশাসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যামামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের ইস্যুটি ‘গুরুত্বের’ সঙ্গে নেবে। কারণ এটা বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের পাশাপাশি ভালো যোগাযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) এবং হাইটেক পার্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ স্বাগত জানান।

উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে অধিক সুবিধা নিতে পারে এবং দেশে বিপুল পরিমাণ বিশেষ করে আইসিটি, জ্বালানি, ওষুধ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা মিয়ানমার, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং শ্রম ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের গুরুত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়