ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

খেলার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সব জেলার স্টেডিয়ামগুলো

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১২ মে ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাঠের মাঝখানে ক্রিকেট পিচ। মাসের পর মাস ঢাকা থাকে সেই পিচ, বন্ধ থাকে স্টেডিয়ামের প্রবেশ দ্বারগুলো। স্টেডিয়াম ও মাঠ আছে, কিন্তু খেলতে পারে না কেউ। অনেক জেলা স্টেডিয়ামে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

বিষয়টি নজরে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই তো তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সব জেলা স্টেডিয়াম সব খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপিকে এ নিদের্শনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়ামগুলো অনেক সময় খেলাবিহীন পড়ে থাকে। মাঝমাঠে ক্রিকেট পিচ থাকায় অন্য খেলা হয় না। এই স্টেডিয়ামে যেন সব ধরনের খেলাধুলা হতে পারে, তার জন্য উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন প্রয়োজনে মোবাইল পিচও ব্যবহার করা যায়।’

এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৮ বছরের জমে থাকা ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ২০২০ সালের জন্য মনোনীত ৮ জনকে মঞ্চে ডেকে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বাকি ৭ বছরের জন্য মনোনীতদের হাতে আগেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের পর এই প্রথম জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হলে। যে কারণে, এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বেশি ছিল তারকা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের উপস্থিতি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্রই পুরস্কারপ্রাপ্তরা আসন ছেড়ে পুরনো মুখগুলোর সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেন।

খেলাধুলার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে স্বীকৃতি পেলেন কেউ কেউ। কারো কারো সামনে এখন বিশাল সময়। তারা সবাই প্রতিক্রিয়ায় একরকম কথা বলে গেলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এখন মনে হচ্ছে দেশের খেলাধুলার জন্য কিছু করতে পেরেছি।’

কারো কারো বক্তব্য ছিল এরকম, ‘আসলে পুরস্কার পাওয়ার জন্য কাজ করিনি। এখন পেলাম, অনেক ভালো লাগছে। কাজ করতে আরো অনুপ্রাণিত হবো।’

অনেকের কণ্ঠে আবার খানিক আক্ষেপের সুর, ‘এত দেরি করে পুরস্কার হাতে পেলাম। অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ হলো।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়