কুমিল্লায় রমজান মাসকে ঘিরে মুড়ি উৎপাদনের ব্যস্ততা বেড়েছে
নিউজ ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
রমজান মাসকে ঘিরে মুড়ি উৎপাদনের ব্যস্ততা বেড়েছে কুমিল্লায়। গ্রাম ও শহর মিলিয়ে জেলায় প্রতিদিন ২৮ টন মুড়ি উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা বিসিকে ২৪ টন ও কুমিল্লার বরুড়া গ্রামে চার টন মুড়ি উৎপাদিত হচ্ছে।
কুমিল্লার উৎপাদিত মুড়ি গুণে ও মানে উন্নত হওয়ায় ক্রেতাদের সহজে আকৃষ্ট করে। কুমিল্লা বিসিকের বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিল, বিসমিল্লাহ ফুড, ইফতি ফুড ও বেঙ্গল ফুডে তৈরি হচ্ছে মুড়ি। এখানে তৈরি হয় ভারতীয় চালের স্বর্ণা, রত্না ও হিমরাজ মুড়ি; আর বাংলাদেশি চালের ষোলো, তেইশ ও বাংলাদেশি স্বর্ণা মুড়ি। এর মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণা মুড়ি। বাংলাদেশি ও ভারতীয় উভয় স্বর্ণা মুড়ি পাইকারিতে ৫৩ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। স্বর্ণা মুড়ি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। অন্যান্য দেশি ও ভারতীয় চালের মুড়ি পাইকারিতে ৫৯-৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যার মূল্য ৮০টাকা।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, রমজান মাসের আগে কুমিল্লা বিসিকের প্রতিটি কারখানায় গড়ে ১৫ টন মুড়ির উৎপাদন হতো। জেলার চাহিদা মিটিয়ে মুড়ি রফতানি হতো বিদেশেও। মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের সঙ্গে চালের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মুড়ির উৎপাদন কমে গেছে। এখন প্রতিটি কারখানায় গড়ে ছয় টন মুড়ি উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে শুধুমাত্র কুমিল্লা জেলায় বিক্রি হচ্ছে বিসিকের তৈরি মুড়ি।
কুমিল্লা বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিলের ব্যবস্থাপক শফিউল আলম মামুন জানান, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদনকৃত কোনো মুড়িতে হাইড্রোজ ব্যবহার করা হয় না। শুধুমাত্র খাদ্য লবণের পানি ব্যবহার করে তারা মুড়ি তৈরি করেন। চালের দাম বেশি, মানুষের খাবার তালিকায় নানা রকম আইটেম রাখা ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বর্তমানে মুড়ির উৎপাদন কমে গেছে। এখানে শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, তার ওপর থাকতে হয় প্রচণ্ড গরম সহ্য করার ক্ষমতা। এসময় শ্রমিক কমে যাওয়ার এটা বড় একটি কারণ।
কুমিল্লা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর সুবিধার্থে কারো ঋণের দরকার হয়, তার ব্যবস্থা আমরা করে দেব। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকেও এ সুবিধা দেয়া যাবে।
কুমিল্লা বিসিক সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় উৎপাদিত মুুড়ি কুমিল্লার চাহিদা মিটিয়ে আশে পাশের জেলা উপজেলাগুলোতেও বিক্রি করা হয়।
মিল মালিকরা বলেন, আমাদের চাহিদা আরো বেশি কিন্তু উৎপাদন করে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারি না। কুমিল্লায় উৎপাদিত মুড়ি গুণে এবং মানে অনেক উন্নত। এই মুড়ি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু।
- ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও ভালুকার সালমা
- “ময়মনসিংহে অনলাইন নার্সারির ই-কমার্স সম্ভাবনা”
- লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল দেয়ালিকা
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- মিঠামইনে ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ভৈরবের মাছ বাজার
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - পতিতালয়ের শিশুরা যাবে স্কুলে, থাকবে আবাসিক হোটেলে
- রাজীবপুরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণের আয়োজন