ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

কারা পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২৮ নভেম্বর ২০২২  

কারা পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার?

কারা পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার?

মাঘের শেষ প্রহরের কুয়াশা ঘন হয়ে জনজীবনে কামড় বসায় পৌষের চিন্তা, ঠিক এই সময়ে বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের ভেতরও একটি চাপা উত্তেজনা কাজ করে। কারণ, মানুষ তার কাজের স্বীকৃতি চায়। এই স্বীকৃতি চাওয়া বা পাওয়ার ইতিহাস অনেক পুরাতন। সাম্রাজ্যবাদ থেকে শুরু করে পুঁজিবাদের প্রতিটি পরতে পরতে এর একটি শক্ত ভিত্তি আছে। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক ইতিহাসের পাতা যদি উল্টাই তার বয়স ২০০ বছরের বেশি হওয়ার কথা নয় তবে বাংলাদেশের সাহিত্যের বয়স ৫০ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে।

আমাদের দেশের সর্বোচ্চ তিনটি পুরস্কারের মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বারাবরই কবি-লেখক-সাহিত্যিকরা এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মুখর থাকেন। নভেম্বর গড়িয়ে ডিসেম্বর আসতে না আসতে সাহিত্য পাড়ায় মৌমাছির মতো গুঞ্জন ওঠে। এবার কাদের হাতে যাচ্ছে এবার ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’। 

যেহেতু অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা এখন অনেকটা নিয়মিত। সাহিত্যের সঙ্গে যারা জড়িত বা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা অপেক্ষায় থাকেন জানার জন্য কে বা কারা পাচ্ছেন এবারের পুরস্কার।

সর্বশেষ ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৫ জন সাহিত্যিক। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধে হোসেনউদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনীতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোরে পুরস্কার পেয়েছেন আমিনুর রহমান সুলতান। 

বিগত বছরগুলোর মতো ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২২’-এর পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ হতে পারে জানুয়ারিতে। এবারও কবি ময়ূখ চৌধুরীর সম্ভাবনা নেই বললেও চলে। কারণ প্রচারের আলোয় না থাকলে কারও নামই সাধারণের কাছে পৌঁছায় না। তবুও কাব্যবোদ্ধাদের আগ্রহের তালিকায় তিনি প্রথম সারিতেই আছেন। অবশ্য এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন কবি ফারুক মাহমুদ। তিনি এখনো নিয়মিত কবিতা লিখেছেন জাতীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। এ কারণে তার পরিচিতি পাঠক মহলে কিছুটা হলেও এগিয়ে। 

বিজয়ের মাসজুড়ে আলোচনায় সরব থাকেন কবি-লেখকরা। বিভিন্ন মাধ্যমে সে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। সেই আগ্রহের সূত্র ধরেই একটি পরোক্ষ জরিপ চালিয়েছে। সে জরিপে বেশ কয়েকজন লেখকের নাম উঠে এসেছে। এরমধ্যে কবিতায় ফারুক মাহমুদ, ময়ূখ চৌধুরী, মজিবুল হক কবির, দুখু বাঙাল, মাহমুদ কামাল, মজিবুল হক কবির, ফরিদ কবিরের নাম উল্লেখযোগ্য।

কথাসাহিত্যে আলমগীর রেজা চৌধুরী, নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, মোজ্জামেল হক নিয়োগী, পারভেজ হোসেন, মনিরা কায়েস, মশিউল আলম, আকিমুন নাহার, আহমাদ মোস্তফা কামাল পেতে পারেন। আবার এই তালিকার বাহিরে ও অনেকে আছেন যারা কথাসাহিত্যে একাডেমি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। 

শিশুসাহিত্যিক যারা আলোচনায় আছে। ফারুক নওয়াজ, ফারুক হোসেন, রোমেল রায়হান, তপংকর চক্রবর্তী, ধ্রুব এষ, সারওয়ার-উল-ইসলাম। 

এবং প্রবন্ধ ও গবেষণায় যাদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে অন্যতম নাম গাজী আজিজুর রহমান, মজিদ মাহমুদ, মাসুদ উজ্জামান।

তবে, সবকিছু মিলিয়ে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে কবিতা, কথাসাহিত্য। কবিতা ও কথাসাহিত্য বিভাগে যারা পাচ্ছেন; তাদের নিয়েই আলোচনা বেশি হচ্ছে। ফলে কবিতায় এবার ফারুখ মাহমুদের হাতে উঠতে পারে পুরস্কার। সত্তরের প্রথমপাদের কবিদের অন্যতম ফারুক মাহমুদ। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ফারুক মাহমুদের জন্ম ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুলাই। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘পাথরের ফুল’, ‘অপূর্ণ তুমি আনন্দ বিষাদে’, ‘অনন্ত বেলা থেকে আছি’, ‘এত কাছে এত দূরে’, ‘সৌন্দর্য হে ভয়ানক’, ‘বাহ্যের বিষণ্ন দিন’, ‘অন্ধকারে মুগ্ধ’, ‘হৃদয়ে প্রেমের দিন’, ‘সামান্য আগুন যথেষ্ট জীবন’, ‘ভ্রুণ পদ্য’, ‘রৌদ্র এবং জলের পিপাসা’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে তার ‘নির্বাচিত একশ পদ্য’ এবং কিশোর পদ্যের বই ‘ও স্মৃতিমেঘ ও স্মৃতিরৌদ্র’ ইত্যাদি। ফারুক মাহমুদ তার কবিতার প্রকরণে বাঁক নিয়েছেন বারবার; কিন্তু বিষয়-অনুষঙ্গ প্রশ্নে সামান্য বৈচিত্র্যের সমাবেশ ঘটালেও প্রেমের কবিতায় প্রত্যাবর্তন করেছেন ঘুরে-ফিরে। ফারুক মাহমুদের কবিতার সবচেয়ে বড় সম্পদ আবেগ, তার কবিতার প্রতিপক্ষও তেমনি আবেগ পরিহারে অনীহা।

ফারুখ মাহমুদ ২০০৯ সালে সুকুমার রায় সাহিত্য পদক লাভ করেন এবং ২০২০ সালে এসবিএসপি সাহিত্য পুরোস্কার পান।

কিন্তু ময়ূখ চৌধুরীও পাওয়ার যোগ্য। তবে কোনো এক অদৃশ্য কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তাই এবারও ময়ূখ চৌধুরীর সম্ভাবনা নেই বললেও চলে। তিনি ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ময়ূখ চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। অথচ তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। প্রায় বিশ বছর লেখার পর, তিনি নিজের প্রথম বই প্রকাশের পথে হেঁটেছেন।

কথাসাহিত্যে যে কজনের নাম আলোচনায় রয়েছেন; তার মধ্যে আলমগীর রেজা চৌধুরী, নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, মোজ্জামেল হক নিয়োগী, পারভেজ হোসেন, মনিরা কায়েস, মশিউল আলম, আকিমুন নাহার, আহমাদ মোস্তফা কামাল অন্যতম। বিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকের কবি ও কথাসাহিত্যিক  আলমগীর রেজা চৌধুরী। তিনি ১৯৫৫ সালের ১০ মার্চ  টাঙ্গাইল জেলার ধলাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ভোরের পাতা সংবাদপত্রের সহকারি সম্পাদক। পেশাগত সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে পটু এ কীর্তিমান ব্যক্তি। তিনি একাধারে ছোটগল্প, উপন্যাস ও কবিতা লিখে থাকেন। এছাড়াও শিশুতোষ সাহিত্য কিংবা ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। 

কবিতা ও কথাসাহিত্যের পরেই আলোচনায় আসে শিশুসাহিত্য। যে কজন শিশুসাহিত্যিকের নাম আলোচনায় রয়েছেন; তাদের মধ্যে অন্যতম ফারুক নওয়াজ।  ফারুক নওয়াজ ১৯৫৮ সালের ১ নভেম্বর খুলনায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তার হাতে খড়ি হয় বাড়ির বড়দের উৎসাহে পরিবারের ছোটদের লেখা ও আঁকা রঙিন দেয়ালিকা পত্রিকার মাদ্যমে। তিনি দশ বছর বয়সে পত্র-পত্রিকায় ছোটদের পাতায় লেখা শুরু করেন। তার সাহিত্যচর্চা শুরু কবিতা লিখে। এই কবি ও শিশুসাহিত্যিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘আগুনের বৃষ্টি’। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ পায় ১৯৭৭ সালে। তার শিশু সন্তান আকাশের মৃত্যুর পর থেকে তিনি শিশু সাহিত্যে আগ্রহী হয়ে উঠেন। ফারুক নওয়াজের প্রথম শিশুসাহিত্য গ্রন্থ ‘আমার একটি আকাশ ছিল’ ১৯৮৮ সালে প্রকাশ পায়। গ্রন্থটি দুবার অগ্রণীব্যাংক শিশু সাহিত্যে পুরস্কার অর্জন করে।

অন্যদিকে প্রবন্ধ ও গবেষণায় যাদের নাম আলোচনায় আছে তাদের মধ্যে অন্যতম নাম গাজী আজিজুর রহমান, মজিদ মাহমুদ, মাসুদ উজ্জামান। গাজী আজিজুর রহমান, ১৯৪৭ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর ভারতের দার্জিলিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নাম কাসেম আলী গাজী এবং মা করিমন্নেসা। তিনি একাধারে লেখক, প্রাবন্ধিক, গবেষক, নাট্যকার ও সম্পাদক। গাজী আজিজুর রহমানের লেখালেখির প্রিয় বিষয় মৃত্যু, আত্মহত্যা, বিশ্বসাহিত্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, কবিতা এবং আধুনিকতা। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো, প্রবন্ধ গবেষণা- ভ্রামণিক রবীন্দ্রনাথ, কবিদের কবি : জীবনানন্দ দাশ শামসুর রাহমান আবুল হাসান, বাংলার দ্বিতীয় রেনেসাঁ, স্বদেশ ভাবনা ও বঙ্গবন্ধু, সাহিত্যে সমাজবাস্তবতার ধারা, স্বেচ্ছামৃত্যুর করতলে কবি, কালীগঞ্জের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য ও সিংহাসন, আধুনিক বাংলা উপন্যাসের বিষয় ও শিল্পরূপ, সাতক্ষীরার ভাষা ও শব্দকোষ, নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের শতবর্ষ। তার সম্পাদিত গ্রন্থ মরণরে তুহু মম এবং খান আনসার উদ্দীন আহমেদ রচনাবলী। উপন্যাস - জায়েদামঙ্গল, বজ্রের বাঁশি, যোদ্ধার জতুগৃহ, শামুক। তিনি নাটকও লিখেছেন। নাটক - সক্রেটিস, চন্দ্রাবতী, কালো সূর্যের নিচে, অভাজন। 

সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাতক্ষীরা সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, শিমুল-পলাশ সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র পুরস্কার, সিকানদার আবু জাফর পদক, কবি সুকান্ত পুরস্কার। তিনি দীর্ঘদিন সম্পাদনা করে যাচ্ছেন নদী নামের একটি সাহিত্যপত্র।

অন্যদিকে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও গবেষক মজিদ মাহমুদের সম্ভাবনাও আছে। তিনি বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ও  চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক হিসাবে বিবেচিত। ‘মাহফুজামঙ্গল’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থেরও রচয়িতা। তিনি নজরুল ইনসটিটিউটের গবেষণা বৃত্তির অধীনে ‘নজরুল তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের গবেষণা বৃত্তির অধীনে ‘রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ সাহিত্য’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনি ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু: মহাজীবনের মাকাব্য’ শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেন। সৃজনশীল কবিতা উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও মননশীল প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের বিদগ্ধ পাঠক-সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

মজিদ মাহমুদের রচনা কমনওয়েলথ ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়ান রিভিউ, সিঙ্গাপুর আনবাউন্ড-সহ দেশি-বিদেশি স্বনামখ্যাত জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। ইংরেজি ছাড়াও ফরাসি, চায়না ও হিন্দি ভাষায় তার বই অনূদিত হয়েছে। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এশিয়ার নোবেল খ্যাত ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জুরি ছিলেন। তার আটটি গ্রন্থ লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের মাধ্যমে বিশ্বের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। ইতোমধ্যে তার ২০টি কাব্যগ্রন্থ ২০টি প্রবন্ধ গ্রন্থসহ ৫৬টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় যাদের নাম আলোচনায় আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, ইসহাক খান, মিল্টন বিশ্বাস।

ফোকলোর বিভাগে তুলনামূলক কম সাহিত্যিক থাকলেও ড. তপন বাগচী, মোস্তফা সেলিম, সুমন কুমার দাসের নাম আলোচিত হচ্ছে।

যাদের নাম আলোচনায় এসেছে; তারা প্রত্যেকেই যোগ্য। তবে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে একজন করেই পুরস্কার পাবেন। ফলে অন্যদের একটু হলেও এইবার আশাহত হতে হবে। তবে পরবর্তী সময়ে যে তারা পাবেন না, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্যদিকে এমনও হতে পারে, আলোচনার বাইরে থেকেও পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন। তাতে অবাক হওয়ারও কিছু নাই। কারণ বাংলা একাডেমি তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার পথ ধরেই পুরস্কারগুলো দেবে। তবু, আশা করবো, যোগ্য ব্যক্তির হাতেই যেন পুরস্কার ওঠে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়