ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

উন্নত, মানবিক ও বিজ্ঞানমুখী আধুনিক দেশ পাবে নতুন প্রজন্ম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২৯ মে ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আগামীর বাংলাদেশকে পাবে পৃথিবীর উন্নত, মানবিক ও বিজ্ঞানমুখী আধুনিক দেশ। যেটি আমাদের সবার স্বপ্ন।

তিনি বলেন, বাঙালির একটি চমৎকার শক্তি আছে নতুনকে গ্রহণ করার। সেই নতুনকে এবং আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মনোবৃত্তি যদি আরও সার্বজনীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যায়, ততোবেশি মানুষের অধিকার এবং সচেতনতা তৈরি হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে- সেই নতুন যেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন না হয়, ধর্মান্ধতা-জঙ্গীবাদের প্রযুক্তিগ্রহণ না করে। এটি যেন হয় দেশ গড়ার নতুনত্ব। 

গতকাল শনিবার (২৮ মে) মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস এবং দৈনিক আনন্দবাজার আয়োজিত ‘শতভাগ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কি ধরনের বাজেট প্রয়োজন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। 

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, আমরা যে বৃহৎ অর্থনীতির দিকে ক্রমাগত ধাবিত হচ্ছি, এরসঙ্গে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা সম্ভব হলে আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনায় মুড়িয়ে যে চমৎকার বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, সেটি নিশ্চিত করতে পারবো। 

তিনি বলেন, আমাদের সমাজকে দুর্নীতি, জঙ্গিমুক্ত করতে চাই। যে অর্থনীতি ধর্মান্ধতা-মৌলবাদের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে সেই অর্থনীতিরও মূলোৎপাটন করা দরকার। এটি করা গেলেই সোনায় মোড়ানো দেশ হবে- যেটি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিলো। আসুন আলোচনার মধ্য দিয়ে সেইসব অশুভকে দূর করি। 

উপাচার্য আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত যে বাংলাদেশ, যার বিপুল একটি তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার অভিভাবকসম প্রচুর মানুষ আছে। সম্মিলিতভাবে এর অর্থনীতির চাকা ঘুরানোর যে মনোবৃত্তি আমাদের তৈরি হয়েছে, নতুনকে গ্রহণ করার যে সংস্কৃতি আমাদের তৈরি হয়েছে। সেই নতুন নতুন বিষয়গুলোতে সমন্বয় করে ব্লেন্ডেড এডুকেশন, অনলাইন এডুকেশন- এগুলোর সবকিছু যতো বেশি আত্মস্ত করবো, যেমনটি আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণের সময় করেছি, কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় করেছি, কোভিডের ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় করেছি- এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা পাশ্চাত্যকে হারিয়েছি।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। 

তিনি বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থানের জন্য সরকার চাইলে ইন্টার্নশিপ চালু করতে পারে। আমাদের দেশে অনানুষ্ঠানিকখাতে সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান হয়। এটিকে কী করে আনুষ্ঠানিকখাতে আনা যায় সেটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটিকে যতো বেশি আনা যাবে, ততো বেশি ভালো।  সার্বিকভাবে বেকারত্ম আমাদের অনেক বেশি। জাতীয় নীতি বা কৌশলে অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতকে কিভাবে আনুষ্ঠানিকখাতে আনা যায় সেটি সবচেয়ে বড় বিষয়। এটি নিয়ে ভাবতে হবে। 

ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়