ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় উঠলো তুরস্কের চা ও নাসিরুদ্দিনের গল্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২২  

ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় উঠলো তুরস্কের চা ও নাসিরুদ্দিনের গল্প

ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় উঠলো তুরস্কের চা ও নাসিরুদ্দিনের গল্প

বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূল্যবোধে সমৃদ্ধ তুরস্ক। এর মধ্যে চা ও নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প বেশ এগিয়ে। এবার এ দুটি ঐতিহ্য বহনকারী শিল্প-সাহিত্য ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মরক্কোর রাবাতে বসে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটির ১৭তম অধিবেধশন হবে। সেখানে তুরস্কের এ দুটি সাংস্কৃতিক উপাদান মনোনীত হয়।

চা হলো- তুরস্কের পরিচয়, আতিথেয়তা ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার প্রতীক। অন্যদিকে, তুর্কি লোককাহিনীতে অনন্য স্থান ধারণ করে আছেন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা।

নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তথা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের নাম অনেকের জানা। মধ্যযুগে ত্রয়োদশ শতকে সেলজুক শাসনামলে ইরানের বৃহত্তর খোরাসানে বসবাস করতেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশও নাসিরুদ্দিনকে তাদের দেশের বলে দাবি করে। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক ও উজবেকিস্তান।

বিভিন্ন সংস্কৃতিতে তার নাম বিভিন্নভাবে উচ্চারণ হয়। সাধারণত অধিকাংশ সংস্কৃতিতে ‘হোজ্জা’ ও ‘মোল্লা’ নামে পরিচিত তিনি। তার হাস্যরসাত্মক গল্প ও উক্তিগুলো তাকে আজও বিখ্যাত করে রেখেছে।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার সাহিত্যকর্ম মনোনয়নের জন্য আজারবাইজান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানও আবেদন করে। চা-শিল্পটিও আজারবাইজানের সঙ্গে মনোনয়নের জন্য আবেদন করা হয়। এখন পর্যন্ত ইউনেস্কোর তালিকায় তুরস্কের সাংস্কৃতিক উপাদানের সংখ্যা ২৫-এ পৌঁছেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভবিষ্যতে লালন করবো এবং সামাজিকভাবে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে উন্নীত করবো যেগুলোর শক্তিশালী ও গভীর মূল্যবোধ আছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়