আসছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট
নিউজ ডেস্ক
করোনা মহামারিতে উচ্চাভিলাসী বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। সব কিছু ঠিক থাকলে করোনা মহামারির মধ্যে আগামী ১১ জুন ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ গত মার্চ থেকে বাজেটের কাজ শুরু করেছে। দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে সাধারণ ছুটিতে কিছুটা পিছিয়ে যায় কার্যক্রম। কিন্তু ফের বাজেট কার্যক্রমের জোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার আহামরি বাড়ানো হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ব্যয় খাতে বরাদ্দ ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা।
এদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ধার নেয়ার পরিকল্পনা করে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণ ব্যাপক হারে কমে যাবে। ফলে সরকারের ব্যয় মেটাতে আগামীতে ঋণ নির্ভরতা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজেট ঘাটতির বিষয় নিয়ে কথা হয় বিশ^ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনের সময়ে বাজেট ঘাটতি বাড়বে। তাই এই ঘাটতি মেটাতে সরকারের অর্থায়নের বিকল্প চিন্তা করা উচিত। ভর্তুকি বাজেটে সরকার সাশ্রয় করতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে এক্সপোর্ট নেগেটিভে চলে আসছে। তাই ভর্তুকির অর্থ সরকারের সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া বিদেশি ঋণের সুদ এক বছর স্থগিত রাখতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতের যে ক্যাপসিটি চার্জ দেয়া হয়, তা আপতত স্থগিত করতে পারে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে। সর্বোপরি দাতা সংস্থা কোভিড-১৯ ফাইন্যান্সকে সামাজিক সুরক্ষার কাজে লাগাতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বাজেটে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইতোমধ্যে সরকার এডিপির কিছু প্রকল্পের দেশীয় অর্থায়ন সরানোর একটা উদ্যোগ নিচ্ছে। যা খুবই ইতিবাচক। এ সময়ে সরকারে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনা পরবর্তী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এগোতে পারে। সে ক্ষেত্রে যেসব প্রকল্প এ সময় না হলেও চলবে, এসব জায়গা থেকে সরে আসা। আর এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেট ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করতে পারে সরকার।
- Cashless society to expedite country`s development, ease revenue collection : Prime Minister
- প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় করোনায়ও সচল অর্থনীতি
- ডিএসইর লেনদেন সাড়ে ১১শ কোটি টাকা ছাড়াল
- ১১শ` কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হচ্ছে রেলের নতুন বগি ও ইঞ্জিন
- বাংলাদেশকে ৮৬০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি
- দেশেই বাজাজের অটোরিকশা তৈরি করবে রানার
- এবারের বাণিজ্য মেলা হতে পারে অনলাইনে
- সম্ভাবনাময় ই-কমার্স ॥ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে
- পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন
- আরেকটি নতুন মাইলফলকের পথে রিজার্ভ