অর্থ পাচারের মামলায় বিএনপি নেতা ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু

প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচারের মামলায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়র প্রধান আসামি ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- আরএকে সিরামিকসের-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান ও স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।

তবে স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত এ মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- মোসাদ্দেক আলী ফালু, একরামুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান ও আমির হোসাইন ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং থ্রি স্টার লিমিটেড নামে অফশোর কোম্পানি খুলেন। পরে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ঐ অর্থ উর্পাজনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ঐ অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনো জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে বিএনপি দল ক্ষমতার থাকাকালে মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন।