ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

অবৈধ সম্পদ অর্জনঃ পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান

শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান

ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত তারা সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ  হলো। সাক্ষীরা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর এবং ওয়েস্টিন হোটেলের হাউজকিপিং সুপারভাইজার মো. জসীম উদ্দিন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। 

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে  আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনের আদেশ দেন। গত ৬ অক্টোবর আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের উপস্থিতিতে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন। এসময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে তাদের দুইজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র অনুমোদন করেন দুদক।  

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে। অন্যদিকে র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়