ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

অনুপ্রেরণার উৎস শাহনাজ কবীর

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৭ মার্চ ২০২১  

প্রতিকী ছবি

প্রতিকী ছবি

‘খুব ভালো ছাত্রী’—ছেলেবেলা থেকে সবার মুখে এই প্রশংসা শুনে বড় হয়েছেন শাহনাজ কবীর। সবার আগে অঙ্ক করে খাতা জমা দিলে শিক্ষকেরা যখন তাঁকে বোর্ডে অঙ্কটা করে বুঝিয়ে দিতে বলতেন, তখন বোঝানোর পর সবাই হাততালি দিত। তিনি মনে মনে ভাবতেন, ভালোভাবে পড়া বুঝিয়ে দিলে সবাই কত খুশি হয়, কত ভালোবাসে। তাহলে আমিও শিক্ষক হব।

শাহনাজ কবীর শিক্ষকই হয়েছেন। ছাত্রজীবনে যেমন ভালো করার তাগিদ ছিল, ঠিক তেমনই শিক্ষকজীবনেও তাঁর মেধা ও দক্ষতা দিয়ে চেষ্টা করেছেন সবচেয়ে ভালো করার।
মরণব্যাধি ক্যানসারও তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তাই তো তিনি শিক্ষকদেরও অনুপ্রেরণা ও সাহস।

শাহনাজ কবীরের জন্ম ১৯৭০ সালের ১৮ মার্চ। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (মহিলা), ময়মনসিংহ থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএড এবং এমএড ডিগ্রি অর্জন করেন। আর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) পদে যোগ দেন ১৯৯৭ সালে। প্রথম কর্মস্থল ছিল নোয়াখালী জিলা স্কুল।

২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরাসরি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে। পরের বছর কিশোরগঞ্জ শহরের এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বদলি হন। পদোন্নতি পেয়ে ২০১০ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হন।

প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১২ ও ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় জেলার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে তাঁকে দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

শাহনাজ কবীর বলেন, ‘আমার শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। এর মধ্যে আমার অস্থিমজ্জা (বোনম্যারো) প্রতিস্থাপন করানো হয়েছে। তবু মনে সাহস রেখেছি। রোজ স্কুলে যাই। ছাত্রীদের মায়াভরা মুখগুলো, সহকর্মীদের ভালোবাসা এবং অভিভাবকদের সান্ত্বনা আমাকে অসুস্থতার কথা ভুলিয়ে দেয়।’

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়