ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

অচিরেই বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করবে এদেশের চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্ববাজারে এদেশের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করবে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতির পিতার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শুধু তার স্বর্ণালী যুগেই ফিরে যাবেনা, অচিরেই তা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং আয়োজকদের পক্ষে মূল আয়োজক রেইনবো ফিল্মস এর চেয়ারম্যান আহমেদ মুজতবা জামাল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও ভার্চুয়াল ও উন্মুক্ত মঞ্চ পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য আয়োজকদের অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নির্দেশনায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা ও বিশ্বে ২০তম স্থান অর্জন করেছে। যে মাত্র ২২টি দেশ করোনার মধ্যে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে তৃতীয়। চলচ্চিত্রকে সময় ও সভ্যতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিশ্চয়ই করোনা নিয়েও অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হবে এবং সেগুলো এই সময়কে ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে যুক্ত থেকে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আন্তর্জাতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরছে। আর্থিক সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও সংগঠনটি এবারের উৎসব আয়োজন থেকে পিছপা হয়নি। সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা সাধুবাদ প্রাপ্য। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজকদের আর্থিক সংকট লাঘবে কিছুটা হলেও সচেষ্ট হবে।

উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এ ধরনের উৎসব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অত্যন্ত সহায়ক বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে কিরঘিজস্তানের ‘রোড টু এডেন’ এবং দর্শকপ্রিয়তম চলচ্চিত্র হিসেবে ‘গন্ডী’ নির্মাতাদেরসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
আয়োজকদের পক্ষে জুরি, অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবী ও দর্শকসহ অর্থ, তথ্য, সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান আহমেদ মুজতবা জামাল ও ম. হামিদ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়