মহাকাশ চর্চার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
নতুনের সাথে আমরা
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার
ফাইল ছবি
যে মহাকাশ চর্চায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া কিংবা চীনের মতো দেশগুলো সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে, এবার সেই জ্ঞানের মহাকাশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের জন্য আকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে সরকার।
এ লক্ষ্যে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এর নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন’।
এ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নির্মিত হবে নাসার মতো একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে আকাশ ও নভোমণ্ডলের তারকারাশির ওপর দৃষ্টি রাখা হবে সূক্ষ্মভাবে। খোঁজা হবে মানবজাতির জন্য নতুন আবাসস্থলও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেখানে জনসাধারণের জন্যও থাকবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ। তারা দেখতে পারবে নক্ষত্রদের গতি আর পতন। মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চাকে সাধারণ মানুষের জন্য উৎসাহিত করতে এ প্রকল্পটি সহায়ক হবে।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় হতে যাওয়া এই প্রকল্প প্রস্তাবটি আগামী মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উস্থাপন করা হবে। যার মোট ব্যয় ২১৩ কোটি টাকা। একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুন মাসকে লক্ষ্য ধরে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
পৃথিবীকে পৃথক করা কর্কট ক্রান্তি রেখা ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার সংযোগস্থল হলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা। তাই এই জায়গা থেকেই সবচেয়ে ভালোভাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, একনেকে অনুমোদন পেলে এ বছরই ভাঙ্গায় জমি অধিগ্রহণ, অফিস ভবন, অবজারভেটরি টাওয়ার, অফিসার্স কোয়ার্টার, সার্ভিস ভবন এবং পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে জোর দিতে হবে, জাতিগতভাবে আমরা যদি বিজ্ঞানপ্রিয় হই তাহলে দেশ এমনিতেই এগিয়ে যাবে। এই প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনা হিসেবেই আছে, তবে এটি বাস্তবায়ন হলে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
এদিকে প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্রে মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক অনেক ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। এতে বিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়াও সাধারণ মানুষেরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রনমি বা অ্যাস্ট্রফিজিক্স অলিম্পায়াডে যারা অংশ নেবেন, তাদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। এছাড়াও শিক্ষা সহায়ক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও এই প্রতিষ্ঠান কাজ করবে।