জয়পুরহাট বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে কোন্দল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাট বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে কোন্দল। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা না থাকায় এ জেলায় বিএনপি এখন ছন্নছাড়া দলে পরিণত হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোন্দল থাকায় তৃণমূলের অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে অনেকে দল ছেড়েছেন।

শীর্ষ নেতাদের গা-ঢাকা ও কোন্দলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা গেছে। নেতাকর্মীরা জানান, নেতাদের মধ্যে কোন্দল থাকার কারণে অনেকে দল ছাড়ছেন। প্রায় এক যুগ ধরে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারেনি দলটি।

জেলার একাধিক নেতাকর্মী জানান, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালে মার্চ মাসে। এরপর র্দীঘ ১৯ মাস পর এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

চলতি বছরের নভেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৯ মাস পর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ কমিটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা স্থান না পাওয়ায় কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার সাবেক নেতারা।

নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা জানান, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে চলতি বছরের ২ নভেম্বর মেয়াদ উত্তীর্ণের কাতারে ফেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে মো. শামছুল হককে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে দলীয় ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আসা ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করা হয়। অপরদিকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফয়সাল আলীমসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বাদ রাখা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্ত তথ্য দিয়ে প্রকৃত ত্যাগী, আন্দোলন সংগ্রামের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যে কমিটি দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করাসহ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।

জেলা বিএনপির সদ্য কমিটির আহ্বায়ক মো. শামছুল হক বলেন, এ বছরের মার্চের দিকে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তারপর তারেক রহমানের নির্দেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত কমিটির দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমান কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপিদের নাম নেই। তাদের ব্যাপারে হাইকমান্ড জানে। এখানে আমার কিছু করার নেই। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।

জাতীয় পার্টি থেকে আসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তৎকালীন জয়পুরহাটে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার ওলিউজ্জামান আলমের সঙ্গে ছিলাম।