দুই নেতার দ্বন্দ্বেই এলোমেলো বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

প্রভাবশালী দুই নেতার দ্বন্দ্বেই খেই হারিয়ে ফেলেছে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবদল। পাঁচজনকে নিয়ে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির তিন বছর পর আংশিক কমিটি নিয়ে থাকা সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আটকে আছে।

নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি না থাকা আর নেতাদের কোন্দল মাঠের কর্মসূচিতেও প্রভাব ফেলেছে। আর এ কারণেই দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুবদল কর্মীদের অংশগ্রহণ কমেছে। একই সঙ্গে কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় তাদের মধ্যে দিন দিন হতাশাও বাড়ছে।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বলয় ভারী করা নিয়ে সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে পদপ্রত্যাশী শীর্ষ নেতারা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কমিটি না হলে তারা আন্দোলনে যাবেন।

এর আগে, পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি নিয়ে গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠের আন্দোলন-কর্মসূচিতে যারা সক্রিয় ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এক সদস্য বলেন, শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নিজেদের পাল্লা ভারী করার চেষ্টা করছেন বলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আংশিক কমিটিতে যারা পদ পেয়েছে তাদের বেশিরভাগই যুবদলের সর্বশেষ কমিটির, যেখানে সভাপতির লোকজন বেশি। আর সাবেক ছাত্রদল নেতাদের যারা পদ পেয়েছেন, তারা সাধারণ সম্পাদকের বলয়ের। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ সম্পাদকের লোকজনকে পদ দিতে হবে। এখানেই সভাপতির অনীহা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব বলেন, টাইম ফ্রেম দিয়ে রাজনীতি হয় না। বাস্তব অবস্থার কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারিনি। চেষ্টা অব্যাহত আছে। যেকোনো সময় দেয়া হবে।

২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি তিন বছরের জন্য যুবদলের ‘সুপার ফাইভ’ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু পাঁচজনের কমিটি তিন বছর পার করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি দেয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে, নির্দিষ্ট করে যুবদলের দায়িত্বশীল কেউই বলতে পারছেন না।