বিশেষ এক মাস্ক পরলেই বাড়বে শ্রবণশক্তি

ফিচার ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:২২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: এই মাস্কের উদ্ভাবক ইভান ফিশার

ছবি: এই মাস্কের উদ্ভাবক ইভান ফিশার

করোনার তাণ্ডবে পুরো বিশ্ব দিশেহারা। প্রতি শতকের মতো এই ভাইরাসও মহামারি রূপ নিয়েছে শুরু থেকেই। গত বছরের শেষে চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি। সেখান থেকে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এর কোনো প্রতিষেধকই তৈরি করতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা। তবে দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এর প্রতিষেধক বের করার।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষার উপায় জানিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেসমাস্ক ব্যবহার করা। সেই সঙ্গে বারবার সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। মূলত সচেতনাই এই ভাইরাসের একমাত্র রক্ষা কবচ। কাপড় বা সার্জিকেলের মাস্কই এই ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।

বর্তমানে ফেস মাস্ক হয়ে উঠেছে প্রাত্যহিক জীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। অতি প্রয়োজনীয় এই সুরক্ষাদায়ী পণ্যটিকে নিয়ে যেন নিরীক্ষারও শেষ নেই। হীরা দিয়ে কেউ বানাচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফেস মাস্ক, কেউবা আবার ফুটিয়ে তুলছেন ফ্যাশনের নতুন ভাষা। তবে এবার  হাঙ্গেরিয়ান এক অর্কেস্ট্রা কনডাক্টর এমন এক ফেস মাস্ক উদ্ভাবন করেছেন, যেটি শব্দ-বর্ধক।

চারপাশে ফেস মাস্কের ছড়াছড়ি দেখে ইউরোপিয়ার দেশটির রাজধানী বুডাপেস্টের বাসিন্দা ইভান ফিশারের মাথায় এক আইডিয়া এলো। অতি প্রয়োজনীয় ফেস মাস্ককে তিনি পরিণত করলেন একটা মিউজিক শ্রবণ যন্ত্রে! এই অর্কেস্ট্রা কনডাক্টরের উদ্ভাবিত ফেস মাস্কে রয়েছে প্লাস্টিকের কাপ আকৃতির দুটি অংশ, হাতের নকশায় যেগুলো কান ঢেকে রাখে আর শ্রবণশক্তিতে করে তোলে আরো জোরাল।

দেখে মনে হবে কান ঢেকে রেখেছে কোনো হাত, এই আইডিয়া হুট করেই মাথায় এলো আমার,বলেন ফিশার। বুডাপেস্ট ফেস্টিভ্যাল অর্কেস্ট্রার প্রধান কনডাক্টর ফিশার জানান, বিটোফেন ও স্ট্রসের মিউজিকের মহড়া করতে করতে এক সন্ধ্যায় আইডিয়াটি মাথায় আসে তার। নিজের উদ্ভাবিত এই মাস্ক পরলে তিনি শব্দ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে, আরেকটু ভালোভাবে শুনতে পান।

অর্কেস্ট্রা দর্শকদের কাছে মাস্কটি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অর্কেস্ট্রাটির ওয়েবসাইট থেকে চাইলেই এটি কিনতে পারছেন তারা। একেকটি মাস্কের দাম পড়ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া দুই হাজার টাকার মতো। অর্কেস্ট্রা দর্শক ও এই মাস্কের ব্যবহারকারী সুজা হুনিয়াদি-জল্টান বলেন, এটা পরলে মিউজিক শ্রবণে আরও বেশি মনোনিবেশ করা যায়। মাস্কটি খুলে ও পরে- দুভাবেই পরখ করে একটা স্পষ্ট পার্থক্য আমি টের পেয়েছি।

সূত্র: রয়টার্স