রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণীয় বিশেষ গুণগুলো

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণীয় বিশেষ গুণগুলো

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণীয় বিশেষ গুণগুলো

পবিত্র কোরআনুল কারিমের ঘোষণায় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ তিনি ছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরনীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। 

উত্তম গুণাবলী অর্জনের জন্য বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণাবলীগুলো অনুকরণ ও অনুসরণ একান্ত আবশ্যক। মানুষ যখন বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণাবলী নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে, তখনই মানুষ ইহ ও পরকালে সফলকাম হবে। দুনিয়াতেই রচিত হবে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ সমাজ।

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব গুণাগুলোই অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক। কেননা তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হয়েই প্রেরিত হয়েছি।’

বিশ্বনবীর (সা.) সব গুণগুলোর মধ্যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশ্বনবীর (সা.) এ গুণগুলো অনুসরণ করা একান্ত জরুরি। বিশ্বনবির (সা.) কিছু চারিত্রিক গুণাবলী তুলে ধরা হলো-

১. সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয়ে ভীত থাকতেন।

২. কোনো মজলিশে কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত বিশ্বনবী (সা.) উঠতেন না।

৩. বেশিরভাগ সময় তিনি নিরব থাকতেন।

৪. বিনা প্রয়োজনে তিনি কথা বলতেন না।

৫. কথা বলার সময় তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা বলতেন; যাতে শ্রবনকারী সহজেই তাঁর কথা বুঝে নিতে পারে।

৬. বিশ্বনবী আলোচনা করার সময় তা দীর্ঘস্থায়ী করতেন না; যাতে শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে যায় আবার এত সংক্ষিপ্ত করতেন না; যাতে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

৭. কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।

৮. বিনয় ও নম্রতাকে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করতেন।

৯. বিশ্বনবির দরবারে আগত কোনো ব্যক্তিকেই তিনি অবহেলা করতেন না।

১০. কারো সাথে কথা-বার্তায় অযথা তর্ক সৃষ্টি করতেন না।

১১. ইসলামি শরিয়ত পরিপন্থী কোনো কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।

১২. আল্লাহ তাআলার প্রতিটি নিয়ামতকে তিনি সম্মান করতেন।

১৩. কোনো খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন; অন্যথায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন।

১৪. ক্ষমা করাকে পছন্দ করতেন।

১৫. যেকোনো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতেন; যাতে প্রশ্নকারী ব্যক্তি প্রশ্ন সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত হতে পারে।

১৬. সব সময় তিনি ধৈর্য্ন ধারণ করতে ভালোবাসতেন। ধৈর্য্স ছিল বিশ্বনবীর অন্যতম গুণ।

১৭. বিশ্বনবীর কাছে হাদিয়াসহ যা কিছুই আসতো; তিনি তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।

১৮. তিনি এতটাই সাদাসিধে জীবন-যাপন করেছেন যে, লৌকিকতার প্রয়োজনেও তিনি ছোট প্লেটে খাবার খেতেন না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ার পুরো জিন্দেগিই ছিলো গুণাবলীতে ভরপুর। তার সব গুণাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। কোনো মানুষ যদি বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উল্লেখিত গুণাগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করেন। তিনি হবেন পৃথিবীর সেরা মানুষ।

ইয়া আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।