দেশের সকল অর্জনের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ জড়িত: শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২২ শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানেই দেশের স্বাধীনতা, মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন। কেননা দেশের সকল অর্জনের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ জড়িত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম ও ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ইনশাল্লাহ, এই আওয়ামী লীগ যদি জনগণকে সেবা করার সুযোগ পায় অবশ্যই বাংলাদেশ আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা সব হারিয়ে ফিরে এসেছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচন করেছিল, পাশাপাশি দেশের জনগণের আশ্রয়েই আমি এসেছিলাম। তাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবা-মা ও ভাইদের স্নেহ। তাই এ দেশের মানুষের জন্য যেকোনো আত্মত্যাগেই আমি সবসময় প্রস্তুত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। আর সবথেকে বড় কথা হলো, গণমানুষের সমর্থন নিয়েই আমরা সেটা করেছি। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং আর কখনো পরমুখাপেক্ষী হবে না। কারো কাছে হাত পেতে চলবে না। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট করি এবং আওয়ামী লীগের অগনিত নেতাকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদও পয়েন্ট অব অর্ডারে এদিন বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তি সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে এর নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।