আমার বাড়ি অনেকটা হাসপাতালের মতো: মোহামেদ সালাহ

স্পোর্টস ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ এএম, ১২ জুন ২০২২ রোববার

মোহামেদ সালাহ

মোহামেদ সালাহ

প্রতিটি মৌসুমের দীর্ঘ, ক্লান্তিকর যাত্রায় মাঝে মধ‍্যে মনোযোগ নড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সব সময় যে সাফল‍্য আসে তাও নয়, গোল খরাও ভোগায় কখনও কখনও। মোহামেদ সালাহ জানালেন, এ সব বাধা পেরিয়ে যেতে, লক্ষ‍্যের প্রতি নিজেকে স্থির রাখতে, প্রতিদিন নিয়ম করে মেডিটেশন করেন তিনি।

সদ্য শেষ হওয়া ক্লাব মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুলের হয়ে ৩১ গোল করেন সালাহ। দলের এফএ কাপ ও লিগ কাপ জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয় অ্যানফিল্ডের দলটি।

ফ্রান্স ফুটবলকে সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবলের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন সালাহ। মেডিটেশন তাকে লক্ষ্যে স্থির থাকতে অনেক বেশি সাহায্য করে বলে জানান তিনি।

“আমি প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট মেডিটেট করি, বাসায়, একা।“

ক্লাবের হয়ে ব্যস্ততা শেষেই তিনি যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলে। আফ্রিকান কাপের ব্যস্ততা সেরে আগামী মঙ্গলবার তার দল মিশর খেলবে প্রীতি ম্যাচ, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। এত এত ম্যাচ, বছর জুড়ে ঠাসা সূচি। ফিটনেস থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। সেদিকেও খুব মনোযোগী সালাহ।

এতটাই বেশি যে, নিজের বাড়িটাকে যেন একটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। সেজন্য তার স্ত্রীর অনুযোগও শুনতে হয় তাকে।

“এটা সত্য যে আমার বাড়িটা অনেকটা হাসপাতালের মতো। আমার স্ত্রী এটা পছন্দ করে না।”

“আমাদের দুটি রুম কেবলই বিভিন্ন ধরনের ফিটনেস মেশিনের জন্য বরাদ্দ। ঘরে আমি ক্রায়োথেরাপিও করতে পারি, হাইপারবারিক চেম্বারও আছে। আমি প্রতি নিয়ত আমার শারীরিক অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করি।”

সালাহ যখন বাড়িতে থাকেন তখনও তার বেশিরভাগ সময় কাটে ফিটনেস যন্ত্রগুলোর সঙ্গে। অনুশীলনেও সময় দেন বেশি।

“আমার স্ত্রী বলে আমি তার চেয়ে আমার ফিটনেস মেশিনগুলোর সঙ্গেই বেশি সময় কাটাই। অনুশীলনের সময় বেলা ৩টা হলে আমি দুই-তিন ঘণ্টা আগেই পৌঁছে যাই, আবার আসিও দেড় ঘণ্টা পর।”

সালাহর মাঝে সাফল্যের ক্ষুধা তীব্র। কোনো ধরনের ব্যর্থতা সহজে নিতে পারেন না তিনি। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার হতাশা এখনও পোড়ায় তাকে।

“জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল, আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম। আমিই দুই বা তিনটি নিশ্চিত সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু থিবো কোর্তোয়া অবিশ্বাস্য সেভ করেছিল। অবশ্য এটাই তার কাজ, এ জন্যই রিয়াল মাদ্রিদ তার সঙ্গে চুক্তি করেছে। সেই রাতটা তার ছিল।”