নতুন ইসির অধীনে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেঃ ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সম্মানিত সদস্যগণ তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতেও সেভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’

শুধু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য এ কমিশনকে নিয়ে অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

নতুন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

ইসি বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানালেও বিএনপি নেতারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে চিরাচরিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেতিবাচক ও বিভ্রান্তকর বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই, তারা এটি মানেন না। প্রকৃতপক্ষে, বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই। বিএনপি সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ফলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন নয়, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।’