উপজেলা পর্যায়ে আজ থেকে ওএমএসে চাল আটা

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বেসরকারীভাবে সরকার আবার চাল আমদানি করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরু চাল আমদানির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ৭৬০ ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হবে।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।

গত বছরের মতো এবারও চালের দাম উর্ধমুখী। প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫০ টাকায় পৌঁছে গেছে। চালের বাজারের লাগাম টানতে গত বছরও শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করেছিল সরকার। চাল আমদানি শুল্ককর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত বছরের ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিল।

গত বছরের ১৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু মাত্র তিন লাখ টনের মতো চাল আমদানি হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেছেন। এজন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি কোন নির্দেশনা ছিল কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ তো রয়েছেই। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি, আমাদের খাদ্য মজুত আছে। ওএমএসটা যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, ডিসিদের সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম করা হবে। কোন মজুতদার যদি মজুত করে থাকে, সেটাও চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দরকার হলে তাদের মোবাইল কোর্ট করা এবং মজুত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা টাস্কফোর্স করে মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুমও করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। আরও ট্যাক্স কমিয়ে কিছু সরু চাল বেসরকারীভাবে আমদানি করা যায় কি না। এটা আমরা আলাপ করে ফাইল পাঠিয়েছি। তবে এটা ঠিক, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা সুষ্ঠু মনিটরিংয়ে আছি। আপনারাও (সাংবাদিক) যদি মনিটরিংয়ে থাকেন, কোন অবৈধ মজুতের বিষয়ে আমাদের তথ্য দেন, আমরা যদি ওখানে হানা দিতে পারি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস চালের দাম আনকন্ট্রোল্ড হওয়ার কোন অবস্থা নেই। বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ৭৬০ ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

এদিকে বিগত ডিসেম্বরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে আবারও সরকার বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমাদনি উন্মুক্ত করবে। এ লক্ষ্যে ৭ জানুয়ারির মধ্যে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের ধান-চালের বৈধ-অবৈধ সকল মজুতের তথ্য দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ৭ জানুয়ারির মধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) তার জেলায় কারা ধান চালের ব্যবসা করছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ৭ জানুয়ারির মধ্যে ধান-চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে না আসলে আবারও আমদানি শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হবে। সে ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পাবে বলে মন্ত্রী জানান।