এবার মেটাভার্সেই বিয়ে করছেন তামিলনাড়ুর এক যুগল

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাকাল বদলে দিয়েছে বিয়ের চিরচেনা রূপ। সবকিছু গুছিয়ে নেয়ার প্রবনতা এসেছে ভার্চুয়ালি। তবে সবকিছুর মতো বিয়ে তো ভার্চুয়ালি সম্ভব নয়। তবে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে চলেছে পাশের দেশ ভারতের এক যুগল। মেটাভার্সেই নিজেদের বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে যাচ্ছেন তারা।

মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে রেখেছেন মেটা। পরে মেটাভার্স কমবেশি সবার কাছেই পরিচয় হয়ে উঠেছে। এবার এই মেটাভার্সেই নিজেদের বিয়েটা সেরে ফেলতে যাচ্ছেন তামিলনাড়ুর এই যুগল।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এনডিটিভি জানায়, দিনেশ এস পি ও জনগানন্দিনি রামাস্বামী  ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম রোববার বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ে হবে তামিলনাড়ুর শিবলিঙ্গপুরম গ্রামে। তবে তারা রিসিপশন বা বউভাত সারবেন ভার্চুয়ালি।

বিয়ে হয়ে যাবার পর তারা তাদের ল্যাপটপ খুলবেন। তারপর একটি ভার্চুয়াল ভেন্যুতে তারা প্রবেশ করবেন। হ্যারি পটার প্রেমী এই যুগলের থিম হলো হগওয়ার্টস। এই ভার্চুয়াল থিমে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে যুক্ত হবেন তাদের বন্ধু ও অন্যান্য পরিজনরা।

দীনেশ ক্রিপ্টো ও ব্লকচেন টেকনোলজি নিয়ে বহু দিন ধরে কাজ করছে। এবার ব্লকচেন হলো মেটাভার্সের একদম প্রাথমিক অংশ। তার বিয়ে যখন ঠিক হয়ে যায় তখনই সে ঠিক করে এই টেকনোলোজিকে তার বিয়েতে কাজে লাগাবে। হবু স্ত্রীকে জানাতে তিনিও রাজি হন। এরপর এই সিদ্ধান্ত নেন এই যুগল। নিজেদের বিয়েকে ভারতের প্রথম মেটাভার্স  বলছেন দীনেশ।

মজার ব্যাপার হলো এই যুগলের পরিচয়টাও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ইনস্টগ্রামে। সেখান থেকে প্রণয় পর্বেও যে অনলাইনের বড় অবদান ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানটাও মেটাভার্সে হওয়ায় ওই যুগলকে পুরোপুরি ভার্চুয়াল যুগল বলা যেতেই পারে।

এদিকে, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অতিথিরা ভার্চুয়াল খাবার খেতে না পারলেও ভার্চুয়ালি উপহার ঠিকই দিতে পারবেন। সেজন্য গুগল পে কিংবা ক্রিপ্টো কারেন্সি তো রয়েছেই।