সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে যে ৮ মিথ্যা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

খুবই ছোট্ট একটি শব্দ 'সম্পর্ক'। কিন্তু এর অভিঘাত খুব গভীর। এই পৃথিবীতে জন্ম নেয়ার পর থেকেই নানা জনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক, ভাইবোনের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক। কিছু সম্পর্ক হয় চিরস্থায়ী। আবার কিছু সম্পর্ক খুব জটিল এবং ভঙ্গুর। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা স্বত্তেও অনেক সময় ঠুনকো অভিমানের জন্য সম্পর্ক ভেঙে যায়।

কিছু সম্পর্ক ভেঙে গেলেও পড়ে জোড়া লেগে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সেটাও হয়না। সব সম্পর্কেই খারাপ দিন আসে। মজবুত সম্পর্ক সেই খারাপ সময় পার করে চলে যায়। তাই বন্ধন সুদৃঢ় করতে একটু-আধটু মিথ্যা বললে দোষ হয় না। বরং সংসার সুখের হয় মিথ্যার গুণে! তবে শুধু দম্পতিই নয়, এই আটটি মিথ্যা মজবুত রাখতে পারে প্রেমের সম্পর্ককেও! চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই মিথ্যাগুলো কী কী-

হক কথা

কখনো কখনো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সব কথা সঠিক হয় না। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে তা এড়িয়ে গিয়ে উল্টোটা বলাই বুদ্ধিমানের কাজ!

খারাপ হলেও বলুন রান্না দারুণ হয়েছে 

হতেই পারে, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর রান্না কারো পছন্দ হলো না। সেক্ষেত্রে সত্যিটা বললে অন্যজনের খারাপ লাগবে। তাই প্রথমবার মিথ্যা বলাই ভালো! তবে এটা রোজকার ব্যাপার হলে তখন এক রান্না প্রতি দিন ভালো লাগছে না- এভাবে কাজ সারা যায়!

উপহার দিলে বলুন ভীষণ ভালো হয়েছে

সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো উপহার দিলে, সেটা পছন্দ না হলেও তার প্রশংসা করাই নিয়ম, এক্ষেত্রে কলহ এড়ানো যায়। সংসারে সুখ বজায় থাকে।

আরো পড়ুন: সমীক্ষা: ৫৫ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছিন্না নারী আগ্রহী দ্বিতীয় সম্পর্কে  

ভালো না লাগলেও ছবি দেখুন

সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি একসঙ্গে দেখতে চাইলে, সেটা যত অপছন্দই হোক, বলা ঠিক হবে না। বরং এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোই ঠিক হবে। 

সঙ্গিনী বা সঙ্গীর প্রশংসা

এখনো সমাজ স্থূলকায় ব্যক্তিদের নিয়ে পরিহাস করেন। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা নিয়ে সরাসরি কথা না বলাই ভালো হবে! সে যেমনই হোক তার প্রশংসা করুন।

দারুণ লাগছে দেখতে

একে অন্যের প্রশংসা সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিছু পরলে, সেটা তাকে না মানালেও সত্যিটা বলা যাবে না! বলতে হবে, তোমাকে ভালো লাগছে। 

রসিকতার প্রশংসা

সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোনো রসিকতায় অন্যের হাসি না-ই পেতে পারে! কিন্তু সেটা প্রকাশ করলে তার বুদ্ধিমত্তাকে অপমান করা হয়। তাই রসিকতায় সমর্থন জানিয়ে হাসা-ই ভালো!

পরিবারের প্রশংসা

সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পরিবারের ব্যক্তিদের কাউকে অপছন্দ হতেই পারে। কিন্তু তিনি যদি ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ফিরে এসে তার পরিবারের সদস্যদের নিন্দা না করাই ঠিক হবে। না হলে তাকে অপমান করা হয়।