মা খালেদার মৃত্যু চায় লম্পট তারেক!

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি, অথচ তিনি একজন দন্ডিত আসামি। সরকার মানবিক কারণে দেশের সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা করলেও বিএনপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারণেই দলের নেতারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পলাতক আসামি তারেক রহমান লল্ডন থেকে বিএনপির নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন খালেদার চিকিৎসা নিয়ে মাঠ গরম করতে। খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬, আজ হোক কাল হোক তিনি মরবেন। কিন্তু নিরিবিলি মরলে সেটা নিয়ে কোন রাজনীতি করা যাবে না। কিন্তু খালেদা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন– এভাবে অপপ্রচার করলে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যাবে। তাই বিএনপির নেতারা দীর্ঘদিন থেকে অপ প্রচার চালিয়ে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চেষ্টা করছে। আর এসবই করছে তারেকের নির্দেশে।

বিএনপির এক নেতা বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসা আমরা সবাই চাই। কিন্তু তার সন্তান হয়েও তারেক রহমান একবারও দেশে আসলেন না । তার মায়ের প্রতি কী একটুও দরদ নাই? ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার জন্য তার মাথাব্যথা নেই। কারণ, তার কাছে মায়ের মমতার চেয়ে ক্ষমতার লোভটাই বেশি।

সূত্র জানায়, দেশের ভেতর একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করে, জ্বালাও-পোড়াও করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা বিএনপির উদ্দেশ্য। যেহেতু ভোট পায় না, তাই জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় আসা ছাড়া বিএনপির জন্য বিকল্প নেই। কিন্তু দেশে এমন কোন সমস্যা নাই যেটা নিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই খালেদার শরীরকেই রাজনীতির বিষয়বস্তু বানিয়েছেন তারেক রহমান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানের ধারণা খালেদার মৃত্যু হলে সেই আবেগকে পুঁজি করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবেন। কিন্তু জনগণ তারেকের চরিত্র জানে। তার মত লম্পট, দুর্নীতিবাজ এবং একজন সন্ত্রাসীর ডাকে জনগণ রাস্তায় নামবে না। তাই খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে লাভ হবে না তারেকের। যে সন্তান রাজনীতির জন্য মায়ের মৃত্যু চায় সেই কুলাঙ্গার তারেককে বাংলাদেশেও ঢুকতে দেবে না জনগণ।