ভণ্ডামি করে দেশবিরোধী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নুর

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১ রোববার

নুরুল হক নুর

নুরুল হক নুর

দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচতে কথিত অসুস্থতার অজুহাতে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের ফর্মুলা অনুসরণ করে ঠিক একইভাবে নিজেকে মাঝে মাঝে অসুস্থ কিংবা নিজের ভাড়া করা লোক দিয়ে নিজেই মার খেয়ে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভণ্ডামির মাধ্যমে দেশবিরোধী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

সম্প্রতি একটি সমাবেশে নুর বলেছেন, দল ও সরকারের ওপর নাকি শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণ নেই। যদিও বিষয়টি হাস্যকর। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এক যুগ যাবত একটি দল অনায়াসে ক্ষমতায় থাকতে পারে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কতোটা সুসংগঠিত তা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলো, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। যেদিন তারেক রহমান কর্তৃক জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হলে, তার নেতারা নিজের জীবন বাজী রেখে মানব ঢাল তৈরি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। ভিপি নুরের বক্তব্যটি নিতান্তই একপ্রকারের উস্কানি ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ প্রসঙ্গে ভিপি নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রথম প্রথম নুর ভাইকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝলাম, তিনি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার আড়ালে বিএনপির স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভিপি নুরের দলটি সুসংগঠিত নয়। নুর ভাই বর্তমানে বিএনপির নেতাদের মতো কথা বলছেন। যার কারণে প্রতিটি সভা-সেমিনারের তার সঙ্গে একাধিক বিএনপি ও শিবির কর্মীদের দেখা যায়। অনেকেই বলছেন বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই মূলত কাজ করছেন নুর।

এছাড়া নূরের নিজের দলই সুসংগঠিত নয়। নুর মূলত মিক্সড আইডিওলজি নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলো। যার কারণে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগেই তিনটি পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নুরপন্থীরা।

একটি পক্ষ সরাসরি পাকিস্তানি আদর্শে উদ্বুদ্ধ না হয়ে মানুষের ‘অ্যাটেনশন’ পেতে ভারতবিরোধী মনোভাবে এগুতে চান। জামায়াতপন্থী আরেকটি পক্ষ বলছে, তারা যেকোন মূল্যে নুরের রাজনৈতিক দলের লেবাসে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করবেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন। অন্যদিকে সর্বশেষ পক্ষটি বুক চাপড়িয়ে বলছে, যে যাই বলুক। বিএনপির মতাদর্শেই নুরের দল গঠন হবে।

এমতাবস্থায় ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সময় নুর যে পরিমাণ শক্তিশালী ছিলো, তিন ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর নুর এখন বিক্ষিপ্ত। ফলে যেখানে নিজের দলের সমাজে মূল্য নেই, সেখানে অন্য দল নিয়ে কথা বলাটা নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে নিজের দলকে সুসংগঠিত করে, পরে অন্যের দল নিয়ে সমালোচনা করাটা উত্তম হবে। নতুবা বিএনপির মতো, এক সময়ে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে গণঅধিকার পরিষদ।