দেশে ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা বেড়েছে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্তে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ। অনেক সাধারণ মানুষ নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না। উগ্রবাদীদের লেলিয়ে দেয়া ফাঁদে পা দিচ্ছেন তারা। আর এতে বিপন্ন হচ্ছে কিছু নিরীহ প্রাণ। যার মাধ্যমে সমাজে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।

ধর্মীয় উসকানিমূলক লেখা কিংবা ছবি প্রকাশ করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পুরনো চিত্র। এর রেশ ধরে হামলা-মামলার ঘটনাও নতুন কিছু নয়। তবে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটলে সেটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ তৎপর রয়েছে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু উগ্রবাদী ফেসবুক পেজ, গ্রুপ ও আইডি। যারা ছোট কোনো ঘটনাকে বেশ বড় করে উপস্থাপন করে। আর তাতে বিভ্রান্ত হয় সাধারণ মানুষ। তখনই ঝোপ বুঝে কোপ মারে স্বার্থান্বেষী মহল। বাধিয়ে দেয় ধর্মীয় গোলযোগ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, মুসলিম উগ্রবাদী ছড়াতে যেসব পেজ কিংবা গ্রুপ অ্যাক্টিভ রয়েছে, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট দিয়ে। অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের নামে উগ্রবাদকে মদদ দেওয়াও কিছু পেজ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া আইডি বা পেজ নরজদারিতে রয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে বিভেদ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু লাগামহীন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আজ তা বিপন্ন। বিএনপি-জামায়াতের এমন কর্মকাণ্ডে সুযোগ নিচ্ছে দেশের অপশক্তিরা। সাধারণ ও সহজ-সরল বিশ্বাসের মানুষগুলোকে রাস্তায় নামিয়ে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। খুব দ্রুত এটা না করলে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এছাড়া সহজ-সরল ও ধর্মভীরু মানুষগুলোকে উসকে দিয়ে নানা গোষ্ঠীর ফায়দা নেয়ার প্রবণতা আরো বাড়বে।