একজন শক্তিমান কবি ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন অনন্য। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের একজন শক্তিমান কবি তিনি। মাত্র তিনটি কাব্যগ্রন্থের মাধ্য কবিতার জগতে এক স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছিলেন তিনি।

কবির জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৩ মার্চ পাবনা জেলার উল্লাপাড়ার গোবিন্দা গ্রামে। শিক্ষাজীবনে ছিলেন মেধাবী ও কৃতী। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অনার্স এবং ১৯৫৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বাংলায় এমএ পাস করেন। 

অধ্যাপনা দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তার। ১৯৬৩ সালের ১৬ মার্চ থেকে ১৯৬৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাবিতেই কর্মরত ছিলেন। এরপর চলে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ছিলেন কয়েকবছর। ১৯৭৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৭৮ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৪ সালে যোগ দেন শিল্পকলা একাডেমিতে মহাপরিচালক পদে। ১৯৮৬ সালে হয়ে যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। আমৃত্য তিনি এই বাংলা একাডেমিতেই ছিলেন। 

ছাত্রজীবন থেকেই আবু হেনা ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী। নিয়মিত লিখতেন কবিতা আর গান। স্বদেশপ্রেম, মানবপ্রেম, হৃদয়ের অন্তরঙ্গ অনুভূতি, গভীর আবেগ – সব মিলিয়ে আধুনিক শিল্প চর্চার এক পরিশিলিত রূপের দেখা মেলে তার কবিতা আর গানে। প্রবন্ধ, সমালোচনা, গবেষণাধর্মী লেখা – সাহিত্যের এই ক্ষেত্রেও ভাষা শৈলী, বক্তব্য উপস্থাপন রীতি, রসবোধ ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশে আবু হেনা স্বতন্ত্র্য।

মাত্র তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় তার। আপন যৌবন বৈরী ১৯৭৪ সালে , যেহেতু জন্মান্ধ ১৯৮৪ সালে এবং আক্রান্ত গজল ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়।

গীতিগ্রন্থ: ‘আমি সাগরের নীল’; প্রবন্ধ: ‘শিল্পীর রূপান্তর’, ‘কথা ও কবিতা’; গবেষণা : ‘দি বেঙ্গলি প্রেস অ্যান্ড লিটারারি রাইটিং’। সাহিত্য সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্বর্ণপদক, সাদত আলী আকন্দ স্মৃতি পুরস্কার এবং সুহৃদ সাহিত্য স্বর্ণপদক অর্জন করেন।

নিয়মিত লিখতেন কবিতা আর গান লিখতেন। স্বদেশপ্রেম, মানবপ্রেম, হৃদয়ের অন্তরঙ্গ অনুভূতি, গভীর আবেগ সব মিলিয়ে আধুনিক শিল্প চর্চার এক পরিশিলিত রূপের দেখা মেলে তার কবিতা আর গানে। ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’, ‘নদীর মাঝি বলে’, ‘অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে সেদিন বর্ণমালা’,‘এই বাংলার হিজল তমালে’র মত অনন্য সৃষ্টি রয়েছে আবু হেনা মোস্তফা কামালের।

প্রবন্ধ, সমালোচনা, গবেষণাধর্মী লেখা সাহিত্যের এই ক্ষেত্রেও ভাষা শৈলি, বক্তব্য উপস্থাপন রীতি, রসবোধ ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশে আবু হেনা স্বাতন্ত্র্য।