কম্পিউটারের টুলসগুলো বাংলায় রূপান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:২১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষায় প্রকৌশল-বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয় বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান এবং কম্পিউটারের টুলসগুলো বাংলায় রূপান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ঢাকায় বিডিওএসএন আয়োজিত স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামের বাংলা সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এসময় ডিজিটাল প্রযুক্তি বাংলায় ব্যবহার করার জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী ডিজিটাল যুগকে বাংলা ভাষার যুগে রূপান্তর করার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। বাংলায় স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং টুলস উদ্ভাবন শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি কাজ। ছোটদের জন্য প্রোগ্রামিং শিক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে স্ক্র্যাচ। তিনি এ ব্যাপারে প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, সরকার ও ট্রেডবডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী এসময় ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর জাতি নির্মাণে শৈশব থেকেই প্রোগ্রামিং শেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রাথমিক স্তরে প্রোগ্রামিং শুরু করতে পারলে উচ্চশিক্ষায় তার ভালো সুফল পাওয়া সম্ভব। সবাইকে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হতে হবে তা নয়, কিন্তু স্ক্র্যাচ শিক্ষার্থীদের জন্য সব ক্ষেত্রেই একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

মন্ত্রী ১৯৮৭ সাল থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার দীর্ঘ পথচলায় প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা তুলে ধরে বলেন, দেশে কম্পিউটারে প্রথম বাংলা পত্রিকা বের করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা মুদ্রণশিল্প ও প্রকাশনা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সীসার হরফ থেকে উন্নত টাইপোগ্রাফির সূচনা করতে পেরেছি। যা করেছিলাম তা অন্তর থেকে করেছিলাম বলেই পেরেছিলাম। কম্পিউটারে বাংলা ভাষা উদ্ভাবনে তিনি তার দীর্ঘ প্রচেষ্টা তুলে ধরেন এবং অ্যাপল ও ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার প্রযুক্তির কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রযুক্তি উপযোগী শিক্ষায় গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ২৮ পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল শিশুশিক্ষা কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে শুরু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি ২০১৮-১৯ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা আয়োজনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে তাদেরকে কাজে লাগানো সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসোসিও’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমলুক ছাবির আহমেদ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কসের মনির হাসান এবং প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব ড. লাফিফা জামাল বক্তব্য দেন।