করোনা সংকটে চলমান লকডাউনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১১ মে ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা সংকটের শুরু থেকেই করোনা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বাড়াতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গতবছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যখন বাংলাদেশেও করোনা আঘাত হানে তখন শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, সচেতনতামূলক হ্যান্ড লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, টেলিমেডিসিন সেবা, করোনায় আক্রান্ত মানুষের মরদেহ দাফন, অসুস্থ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা প্রদান, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, করোনার মধ্যে শ্রমিক সংকটে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার মতো মানবিক কাজগুলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা করেছেন।

গত বছরের ন্যায় এবারও যখন করোনার প্রকোপ বেড়ে যায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যখন সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে, তখন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া, কর্মহীন, শহরের ছিন্নমূল মানুষ বিপাকে পড়ে যায়। সেই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ এসব অসহায়-দুঃস্থ, কর্মহীন, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আবারো মাঠে নেমে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ছাত্রলীগ। অতীতের ধারাবাহিকতায় সেই স্বাক্ষর ছাত্রলীগ ধরে রেখেছে বারবার।

গত ১৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মোতাবেক এবারও করোনায় চলমান লকডাউনে শ্রমিক ও অর্থনৈতিক সংকটে এবং পবিত্র রমজানে করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা, খাদ্য সহায়তা এবং ধানকাটা সহ নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় চলমান লকডাউনে পবিত্র রমজান মাসে ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থী এবং অসহায়-দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্টের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের উদ্যোগে রমজান মাসব্যাপী ইফতার ও সেহরিতে তাদের রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্রলীগের উদ্যোগে চলছে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি। সারাদেশে ছাত্রলীগের জেলা, উপজেলা, পৌর, থানা, ইউনিয়ন সহ এমনকি পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম এলাকাতেও অসহায়, গরীব-দুঃখী, মেহনতী, কর্মজীবী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রতিদিন সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষের মাঝে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। ছাত্রলীগের এসব মানবিক কর্মকাণ্ডের সংবাদ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিন প্রচার হচ্ছে।

একইসাথে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অতি দরিদ্র শিশুদের জন্য গুঁড়া দুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করছে। ছাত্রলীগের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র পরিবারকে গুঁড়া দুধ সহায়তা করে যাচ্ছে। শিশুর বাবা-মা বা তাদের পক্ষে যেকেউ ফোন দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছে গুঁড়া দুধ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচির পর দেশের বিভিন্ন স্থানেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনামূল্যে শিশুদের জন্য গুঁড়া দুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করছে।

চলমান করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগের এরকমই আরেকটি মানবিক উদ্যোগ হচ্ছে ‘বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা’।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এই সংকটে জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এপ্রিলের মধ্য থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড ও নন-কোভিড মুমূর্ষু রোগীদের ভর্তির জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাটি চালু করে ছাত্রলীগ। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীর ভিতরে শুধুমাত্র করোনা রোগী পরিবহনের কথা বলা হলেও, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সমস্যার কথা চিন্তা করে অন্যান্য রোগী পরিবহনেও সেবাটি বিনামূল্যে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। এই সেবাটি অসহায়, সামর্থ্যহীন মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। মানুষ ভাবছে, তাদের কোন সমস্যা হলে আর কেউ না আসলেও ছাত্রলীগ তাদের পাশে থাকবে।

করোনা সম্পর্কিত কোন পরামর্শ, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান ও চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে মেডিকেল টিমের সমন্বয়ে ২৪ ঘন্টার টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে ছাত্রলীগ। এর মাধ্যমে ঘরে বসে জনসাধারণকে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম।

করোনা প্রাদুর্ভাবে ছাত্রলীগের আরেকটি মানবিক উদ্যোগ হচ্ছে বিনামূল্যে ওষুধ সেবা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে সংক্রমণ এড়াতে মানুষ ঘরে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে এমন অনেকেই আছেন যাদের জরুরী ওষুধ প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাইরে বের হতে পারছেন না বা অর্থ সংকটে আছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘হাসুক পৃথিবী বাঁচুক প্রাণ’ এ স্লোগানে ‘দেশরত্ন মেডিসিন সার্ভিস’ নামে এই সেবার যাত্রা শুরু হয়। একটি ফোনেই বিনামূল্যে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। এজন্য সেবাগ্রহীতাকে কোন পরিবহন চার্জ কিংবা ওষুধের ফি প্রদান করতে হয় না। ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষ এই ওষুধ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করেছেন।

চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ডায়রিয়া/কলেরা যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে, তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চিকিৎসা সহযোগিতার লক্ষ্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তত্বাবধানে একটি করে মেডিকেল টিম চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি জেলায় (বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনা) হাসপাতালে গিয়ে বিনামূল্যে সংকটে থাকা আইভি (IV) স্যালাইন, ওরস্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের দায়িত্ব নিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা যখন দাফন, সৎকারে ভয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন, তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকারের ব্যবস্থা করছেন।

করোনায় যখন নানামুখী সেবা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ঠিক সেই সময়েই আসন্ন বোরো মৌসুমে অনেক কৃষক শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার পরপরই গতবছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহবানে কাস্তে হাতে মাঠে নেমেছে কৃষকের ধান কাটতে। শুধু তাই নয়, ধান কেটে ও মাড়াই করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর এমনকি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে পড়া অসহায় কৃষকের ধান কেটে, মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, করোনায় লকডাউনে বাড়িতে অবস্থান করা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের পাশে এসে সহযোগিতা হাত বাড়িয়েছেন।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিনামূল্যে শাক-সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণকর্তার ন্যায় চাল-ডাল, তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

করোনায় আর্থিক সংকটে পড়া অসহায় অচল পরিবারের বিষয়ে কোন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে সেটির দায়িত্বও নিচ্ছে ছাত্রলীগ। রাজধানীর কড়াইল বস্তির উজ্জালা বেগম, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, ছাত্রলীগের প্রয়াত কর্মী আল-মামুন, ছাত্রলীগ নেতা কাওসার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।

বৈশ্বিক করোনায় চলমান লকডাউনে সারাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এসব কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

করোনা সংকটে সারাদেশে ছাত্রলীগের এসব নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘দেশের যেকোন সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় সারাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও জনসাধারণকে সচেতন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবারও যখন করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকে, লকডাউনে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পবিত্র রমজানে সেহরি, ইফতার বিতরণ, খাদ্য সহায়তা, শিশুদের জন্য গুঁড়া দুধ সরবরাহ, করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা, ওষুধ সরবরাহ, বরিশাল অঞ্চলে কলেরা আক্রান্তদের জন্য বিনামূল্যে জরুরি স্যালাইন বিতরণ, লাশ দাফন, সৎকার সহ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লকডাউনে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে থাকা কৃষকের পাশে দাঁড়াতে আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংকট উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবে।’

সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেকোন সংকটে, দুর্যোগে, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের এই ক্রান্তিকালে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজে সচেতন থেকে মাঠ পর্যায়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার আলো ছড়িতে দিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। করোনায় নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও করোনা প্রতিরোধে ও সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গতবছরের ন্যায় এবারও করোনা সংকটে লকডাউনে রমজানের মাসের শুরু থেকেই সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসহায়-দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে সেহরিতে খাবার বিতরণ ও ইফতারের ব্যবস্থা করছে। কোভিড/নন-কোভিড রোগীদের জন্য বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকার, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, অতি দরিদ্র শিশুদের জন্য গুঁড়া দুধ সরবরাহ, ডায়রিয়ায় স্যালাইন সরবরাহ সহ বিভিন্ন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে থাকা কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে ও মাড়াই করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। যতদিন করোনা সংকট চলবে, ততদিন এই মহামারি করোনা সংকটে ছাত্রলীগের এসব নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।