মানবতার সেবায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’। বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে। তারপর আমরা আমাদের ভাষা হিসেবে বাংলাকে পেয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়।জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।দেশের প্রতিটা ন্যায় আন্দোলন এবং সংগ্রামে ছাত্রলীগ এর ভূমিকা ছিল যা আমরা কখন ও অস্বীকার করতে পারব না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

প্রথম যখন করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয় তখন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর প্রতিটা নেতা কর্মী মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার,এবং সচেতনমূলক লিফলেট বিতরন করেছে।নিজেদের তৈরী হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেশের মানুষের কাছে বিতরন করেছে।যখন করোনা উপসর্গ হলে কি করা উচিত এবং অন্যান্য রোগ হলে ডাক্তার এর চেম্বারে মানুষ যেতে পারছে না।তখন সব মেডিকেল ছাত্রলীগ এর নেতৃত্বে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হয়।অসহায়,দরিদ্র,এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ত্রান পৌছায় দেয়।।এই মহামারি তে যখন কৃষক রা ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছে না।নিজ স্বেচ্ছায় ধান কেটে দে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর নেতা কর্মীরা।যখন ছাত্ররা মেস বাড়া দিতে পারতেছে না মালিক রা তাদের আসবাবপত্র, সার্টিফিকেট ফেলে দেয়।।এই মালিক দের বিরুদ্ধে প্রথম স্বোচ্চার হয়ে কাজ করছে।এবং মেস বাড়া মওকুপ করার জন্য মালিক দের অনুরোধ জানাচ্ছি।

২য় ধাপে করোনা এর প্রকোপ আবার যখন বাড়তে থাকে।যখন শুরু হয় লকডাউন।আবার মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।ফ্রি এম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।রমজান মাসে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দরিদ্র এবং পথশিশুদের মাঝে ইফতার এবং সেহেরী এর বিতরন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।পুরো রমজান মাস এই ইফতার-সেহেরী বিতরন অব্যাহত থাকবে।

এই মহামারী তে দুইজন করোনা সম্মুখ যোদ্ধা এর কথা বলতে চাই যার মধ্যে একজনকে জাতিসংঘ থেকে রিয়েল লাইফ হিরো আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। গত লকডাউনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০দিন দরিদ্র-পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করেছে। আর একজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ-বিন কাদের চৌধুরী। উনাকে বলা হয় অক্সিজেন ফেরিওয়ালা। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। তখন তাদের কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়ার দরকার হয় আর এজন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে বাংলাদেশে সোনার হরিণের মত অবস্থা হয়। কারন একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম ২০-২৫ হাজার টাকা। যা সবার কিনার সামর্থ্য ছিল না। তখন সাদ বিন কাদের চৌধুরীসহ তিনজন মিলে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্য অক্সিজেন সেবা দিচ্ছে "জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা"। দশ মাসে বিনামূল্য সেবা পেয়েছে ৫হাজার রোগী।

এইভাবে বাংলাদেশের প্রতিটা সংগ্রাম-মহামারী তে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর নেতৃত্বে এই সংগঠন আর ও এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।