মামুনুলের বিরুদ্ধে রাজধানীতেই মামলা রয়েছে ১৭টি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রোববার ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে বেলা একটায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে রাজধানীতেই অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর হওয়া ১৫টি মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। এসব মামলার বাদী পুলিশ। পল্টন থানায় হওয়া সর্বশেষ মামলার বাদী যুবলীগের এক নেতা। আর মোহাম্মদপুরে আরেকটি মামলার বাদী সাধারণ মানুষ।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে। পরে সেসব সমন্বয় করা হবে। সোমবার ১৯ এপ্রিল মামুনুলকে আদালতে তোলা হবে।

মূলত নারী ঘটিত কেলেঙ্কারির কারণে এপ্রিল মাসের শুরুতে সমালোচিত হন ধর্মীয় নেতা মামুনুল হক। গুঞ্জন উঠে তার বৈবাহিক জীবন নিয়ে। একাধিক ফেসবুক লাইভে তিনি দুটি বিয়ের কথা স্বীকার করলেও এবার জানা যায়, তার ৩টি বিয়ে হয়েছে। রোববার গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিন বিয়ের কথা স্বীকার করছেন মামুনুল হক। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ের পর যে দুই নারীর কথা আলোচনায় এসেছে তারা দু’জনই তার স্ত্রী। এসব বিয়ে তিনি সামাজিকভাবে গোপন রেখেছেন।

ডিসি হারুন আর রশিদ বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থানার মামলায় মামনুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’ আরো কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

অপরদিকে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চলা ১৭টি মামলার বিষয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলে, ডিবির মতিঝিল বিভাগে তদন্তাধীন আটটি মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন দুটি মামলা এবং তেজগাঁও বিভাগে তদন্তাধীন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল হক। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় তদন্তাধীন একটি এবং পল্টন থানায় তদন্তাধীন চারটি মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টি মামলাই হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয়েছে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল। গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এই মামলা করেছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) উপদপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ উজ জামান। মামুনুল হক এই মামলার এক নম্বর আসামি।
মামলার এজাহারে খন্দকার আরিফ উজ জামান বলেছেন, জুমার নামাজ শেষে তিনি কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ধর্মান্ধ ব্যক্তিকে মসজিদের ভেতর জুতা প্রদর্শন করতে দেখেন।