এস কে সিনহার বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ এপ্রিল

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ২ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা

ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এদিন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজির আহমেদের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। তার আগে গত ২৫ মার্চ বেনজির আহমেদ আদালতে জবানবন্দি দেন।

এর আগে, মামলায় জামিনে থাকা আসামি ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া এ মামলায় কারাগারে আটক থাকা আসামি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) আদালতে হাজির করা হয়।  

এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার আসামি এখনো পলাতক আছেন। অন্য তিন আসামি হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

গত ১৮ আগস্ট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এ বদলির আদেশ দেন। 

গত ৫ জানুয়ারি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়। গত বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে  দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন। পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।