দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতেই মানুষ পেটান ‘টিকটকার’ সিমি
নিউজ ডেস্ক
নতুনের সাথে আমরা
প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ২২ মার্চ ২০২১ সোমবার
অনলাইন ছবি
টিকটক অ্যাকাউন্ট খোলার পর তেমন কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না তাহমিনা সিমরান সিমি। ১৯ বছরের এ তরুণী ‘লেডি গ্যাং লিডার সিমি’ ও ‘টিকটকার সিমি’ নামেও পরিচিত। এরপর দ্রুত জনপ্রিয়তার লোভে কথায় কথায় তরুণ ও তরুণীদের পেটানো যেন নেশায় পরিণত হয়ে গেছে তার।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন।
লেডি গ্যাং লিডার কুখ্যাতি পাওয়া সিমির দলে আছে আরও সাত তরুণ-তরুণী। কখনও মানুষের বাসায় ঢুকে, কখনও বিনোদন কেন্দ্র নেভাল একাডেমি আবার সিআরবি শিরীষতলায় প্রকাশ্যে মানুষ পিটিয়ে উঠে আসছেন শিরোনামে।
এসআই মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, তরুণ-তরণীদের পেটানো ও মানুষকে উত্তক্ত করার ওই ভিডিও ধারণ করতো তারা। এরপর সিমি নিজেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
জনবহুল এলাকায় মানুষ পেটানোর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজেই ছড়িয়ে দেন তিনি। ছয় মাসের ব্যবধানে দুই মামলার আসামি হয়ে ফের কারাগারে গেছেন তিনি। মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানুষ পেটানোর বহু অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়।
সম্প্রতি এক কিশোরীকে মারধরের মামলায় লেডি গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত তাহমিনাকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। বুধবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলায় বলা হয়, গত ৪ মার্চ পতেঙ্গা নেভাল এলাকায় সিমি ও তার বন্ধু মেহেরুল হাসান মারধর করেন অর্নাকে। পরে মারধরের ভিডিও ১২ মার্চ সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।