সন্দেহ ও সংশয় দূরে রেখে চলুন একসাথে চলি: দোরাইস্বামী

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। ফাইল ছবি

ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

তিনি বলেছেন, পরস্পরের সন্দেহ ও সংশয় দূরে রেখে একসঙ্গে চলার মধ্য দিয়ে দুই দেশই সমৃদ্ধির পথে এগোতে পারবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক টেকসই হওয়ার মূলনীতি ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে আছে। এখন আমাদের উচিৎ সন্দেহ ও সংশয় দূরে কাজ করা। কারণ সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কোনো জায়গা এখানে নেই।

“পৃথিবী খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা যত দ্রুত এগোতে পারব, তত দ্রুতই আমরা একসঙ্গে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারব।”

দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, গণমাধ্যাম, ব্যবসায়, ভ্রমণ, পরিবহন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি রয়েছে।

দুই দেশের সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করে দোরাইস্বামী বলেন, “আমি দেখেছি, সহযোগিতা বাড়লে উন্নতিও বাড়ে। সুতরাং আমার জন্য যেটা ভালো নয়, সেটা আপনার জন্য ভালো হবে না এবং আপনার জন্য যেটা ভালো নয়, সেটা আমার জন্য ভালো হবে না।

”আমরা যদি এটা অনুসরণ করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের আদর্শ অনুসরণ করা হবে।”

দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে, তার মূলনীতি ও পথ বঙ্গবন্ধুর সময়েই তৈরি হয়ে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “৭৫ পরবর্তী সময়ে এখন দুই দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

“দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক এবং বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় ট্রাভেল পার্টনার। এভাবেই আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “নির্বাচন এলে বিএনপি ও কিছু দল ভারত বিরোধিতাকে সামনে এনে প্রচারণা করে। যাদের সহযোগিতা ছাড়া এ দেশের স্বাধীনতা সম্ভব ছিল না, তাদের বিরোধিতা করে!

“প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরিতা করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। একথা তারা বুঝেও বোঝেন না। আবার বুঝলেও রাজনীতির স্বার্থে অপরাজনীতি করেন।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার কারণে ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির কারণে আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের ছিটমহলের অধিকার ফিরে পেয়েছি। অথচ এ চুক্তি নিয়ে একটি মহল বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছিল।”

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের সহযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানের জেল থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যেন ফাঁসি দেওয়া না হয়, সেজন্য ৩০টির মতো দেশ সফর করেছিলেন তিনি।”

ইমক্যাবের সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বক্তব্য দেন।