সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেলন চাষ
নিউজ ডেস্ক
![ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত](https://www.jonotardorpon.com/media/imgAll/2020Aprila/-বিদেশি-ফল-সাম্মাম-ও-রকমেলন-চাষ-2104250251.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেলন চাষ করে রীতিমত আলোচিত হয়ে উঠেছেন কয়েকজন তরুণ কৃষক। গ্রীষ্মকালীন সু-স্বাদু এসব ফল দেখতে খুবই সুন্দর ও বিলাসী। মরু অঞ্চলের মানুষের কাছে এ ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বুধবার বাগানে উৎপাদিত সাম্মাম ও রকমেলন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাম্মাম ও রকমেলন বাগান পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে সাম্মাম ও রকমেলন ফল বাগান দেখতে এখানে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ।
ফলটি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। হলুদ রংয়ের খোসায় আবৃত ফলটির ভেতরের খাদ্য অংশটি অনেকটা আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো। অন্যটি খোসার অংশ খসখসে ও ভেতরে অংশে হালকা হলুদ এবং বাদামি বর্ণের।
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় এ ফলের চাষাবাদ করে আশানুরূপ ফলন ঘটিয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছেন উপজেলার কালারুকা ইউপির কালারুকা গ্রামের প্রবাসী রিয়াজ উদ্দিন, চানপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন ও রাজাপুর গ্রামের এনাম।
গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ৪ বিঘা জমিতে সাম্মাম ও রকমেলন ফল চাষ করেন তারা। বর্তমানে এখানের কৃষকরার এসব ফল চাষে অনেকটাই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
যুব কৃষকরা জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সমযয়ের মধ্যে সাম্মাম ও রকমেলন চাষ শুরু করতে হয়। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বন ও নিয়মিত পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে। দুই বা আড়াই মাসেই ফল পরিপক্ক হয়-যা বাজারজাত করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তারা এ ফল চাষবাদ করছেন। ভবিষ্যতে বৃহৎ আকারে বাণিজ্যিকভাবে এ ফল চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ ফল চাষাবাদে প্রতি বিঘা হিসেবে ৭০ হাজার টাকা করে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে তাদের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি সাম্মাম ফলের খুচরা মূল্য ৭৫-৯০ টাকা। সাম্মামের সঙ্গে রকমেলন নামের আরো একটি বিদেশি ফল চাষবাদ করা হয়েছে । রকমেলনের জন্য মাটি থেকে অন্তত ৫ ফুট উচ্চতায় মাচা তৈরি করতে হয়। এ ফল চাষে সূর্য্যের আলো অন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাছে ১০-১৫টি পর্যন্ত ফল ধরে থাকে। ফল বড় হওয়া বা পরিপক্ক হওয়ার আগেই ছিঁড়ে যাতে না পড়ে সে জন্য থলের মতো নেটব্যাগ নিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হােসেন খাঁন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে সাম্মান ও রকমেলন চাষ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। এটি একটি খুবই সু-স্বাদু ফল। ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিনযুক্ত এ ফলে শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় মানব দেহের পুষ্টি চাাহিদা পুরনের পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও ভালুকার সালমা
- “ময়মনসিংহে অনলাইন নার্সারির ই-কমার্স সম্ভাবনা”
- লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল দেয়ালিকা
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ভৈরবের মাছ বাজার
- মিঠামইনে ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - ময়মনসিংহের মালাইকারী মিষ্টির ই-কমার্স সম্ভাবনা
- পতিতালয়ের শিশুরা যাবে স্কুলে, থাকবে আবাসিক হোটেলে