সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে লুটের ঘটনায় মূল হোতা গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুটের ঘটনায় মূল হোতা জাহিরকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন, মো. শামীম আহাম্মেদ, নূর মোহাম্মদ সেবুল ও মো আব্দুল হালিম। গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হাররুন অর রশীদ।
পুলিশ কমিশনার জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ওসমানী নগর থানার শেরপুর নতুন বাজার হাজী ইউনুস উল্ল্যাহ মার্কেটের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের নিচতলায় এটিএম বুথের দায়িত্বরত পাহারাদারকে মারপিট করে হাত ও মুখ স্কচটেপ পেঁচিয়ে বেঁধে ফেলে।
এরপর দুষ্কৃতিকারীরা এটিএম বুথে স্থাপিত এটিএম মেশিনের সম্মুখ দরজা ও লক ভেঙে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার ওসমানী নগর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতাররা প্রযুক্তিতে খুব পারদর্শী। এটিএম বুথের এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা লুটের মূল পরিকল্পনাকারী মো. শামীম আহম্মেদ নিয়মিত ভারতীয় মেগা সিরিয়াল সিআইডি অনুষ্ঠানটি দেখতেন। সিরিয়াল দেখে এটিএম বুথের এটিএম মেশিন ভাঙার কলাকৌশল রপ্ত করেন এবং টাকা লুটের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক তারা এটিএম বুথে প্রবেশ করেন। বুথের সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের চেহারা যেন না দেখা যায় সেজন্য কালো রংয়ের স্প্রে করে ক্যামেরার লেন্স ঝাপসা করে দেন। এ সময় তারা এটিএম বুথের নিরাপত্তকর্মীকে মারধর করে ও হাত ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাঁধেন। পরবর্তীতে শাবল দিয়ে এটিএম বুথের লক ও বক্স ভেঙে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যান।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে প্রথমে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থাকা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, ট্যাক্স সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল, ১টি ছুরি, ১টি প্লাস ও মাথায় ব্যবহৃত ৩টি কাপড়ের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
- ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও ভালুকার সালমা
- “ময়মনসিংহে অনলাইন নার্সারির ই-কমার্স সম্ভাবনা”
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- মিঠামইনে ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ভৈরবের মাছ বাজার
- লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল দেয়ালিকা
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - পতিতালয়ের শিশুরা যাবে স্কুলে, থাকবে আবাসিক হোটেলে
- রাজীবপুরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণের আয়োজন