বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
নিউজ ডেস্ক

ফাইল ছবি
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সমুদ্রের কোল ঘেঁষে কমবেশি ১৭০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা যুক্ত হবে কক্সবাজারের বর্তমান ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে। এরমধ্য দিয়েই বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভের মালিক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএমইটি ইন্টারন্যাশনাল এই সড়ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) ও নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নকশা পেতে এক বছর সময় লাগবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সড়ক নির্মাণ হলে এটি হবে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ। যার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার।
অস্ট্রেলিয়ার এসএমইটি এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে একটা প্রাথমিক নকশা দেবে। এর জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশা পাওয়ার পরই জানা যাবে সড়কটি কত কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া হচ্ছে মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত কমবেশি ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই মেরিন ড্রাইভ। এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সরকার ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ সড়ক ঘিরেই মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠবে ছোট-বড় অসংখ্য রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। স্থানে স্থানে হবে ছোট ছোট সি-বিচ। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। ঘুরতে আসবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। তাতেই অর্থনীতির চাকা ঘুরবে দিনে-রাতে।
এই মেরিন ড্রাইভ ঘিরে শুধু পর্যটনশিল্প থেকেই বছরে আয় করা সম্ভব হবে হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে কাঁচা পণ্যের ব্যবসা। বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি বা সামুদ্রিক অর্থনীতিও উপকৃত হবে। সামুদ্রিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি কাজে লাগানো যেতে পারে এই মেরিন ড্রাইভ ব্যবহার করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমুদ্র থেকে যে পরিমাণ মৎস্য সম্পদ আহরণ করা হয় সেটি দ্রুততম সময়ে দেশের যে কোনো প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে শুধু মেরিন ড্রাইভের কারণে। এখানে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখবে এই সমুদ্র ঘেঁষা সড়কটি।
সওজের কর্মকর্তারা জানান, এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল এলাকায়। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ও দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ। বদলে যাবে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও। ওই অঞ্চলে কমবে বেকারত্ব। নানা রকম কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে।
এই মেরিন ড্রাইভ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন চট্টগ্রাম বন্দর, বে-টার্মিনাল এবং সীতাকুণ্ড উপকূলে প্রস্তাবিত মিনি বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়: রাষ্ট্রপতি