ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বিএনপির না আছে সাংগঠনিক শক্তি, না আছে আন্দোলনের মুরোদ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বিএনপির না আছে সাংগঠনিক শক্তি, না আছে আন্দোলনের মুরোদ

বিএনপির না আছে সাংগঠনিক শক্তি, না আছে আন্দোলনের মুরোদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে দলটির নেতারা। যদিও এই কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। দলটির নেতারাও জানেন- এমন কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলা যাবে না।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে এখন বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে দলটির বৃহদাংশের নেতারা। এমতাবস্থায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার সমঝোতা ছাড়াই যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে সেটা হবে বিএনপির জন্য আত্মঘাতী। নির্বাচনে ভরাডুবি শুধু নিশ্চিত হবে না বরং জনগণের সামনে আবারো বিএনপি একটি হাস্যকর দলে পরিণত হবে। আর সে কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে একটি সম্মানজনক সমঝোতা চায় তারা।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নিতে তারেকের মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার সুযোগ চায় বিএনপি। কারণ, একাধিকভাগে বিভক্ত বিএনপিকে জোড়া লাগাতে তারেক রহমানকে প্রয়োজন। আর তারেক দেশে ফিরলে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে। তখন সম্মানের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে বিএনপি।

তাই তারেক রহমান দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। তবে তারা চায়, তার সকল মামলা প্রত্যাহার করে নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার সুযোগ দিলেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেখানে কোনো লাভ হয়নি বলে জানা গেছে। মহামান্য আদালতের রায় অনুযায়ী তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। সাজা এড়াতেই তিনি পলাতক রয়েছেন। দেশে ফিরলে তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। তার সাজা নিশ্চিত করতেই তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। শুধু তরেক রহমানই নন পলাতক দণ্ডিত সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। যেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির না আছে সাংগঠনিক শক্তি, না আছে আন্দোলনের মুরোদ। সবকিছুতে ব্যর্থ দলটির পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। নির্বাচনে অংশ না নিলে ক্ষতি হবে তাদেরই। তাই এখন তারা সমঝোতার রাস্তা খুঁজছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়